তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তেহারে একগুচ্ছ চমক ছিল। বিজেপি আগামিকাল, রবিবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবে। প্রতিটি নাগরিকের জন্য বাসস্থান, খাদ্য, পানীয় জল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শৌচালয় ও চিকিৎসার সুব্যবস্থার কথা বলছে বিজেপি। ইস্তেহারে শিল্প নিয়ে বিশেষ আলোকপাত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বাংলার আদি থেকে বর্তমান খ্যাতনামা ব্যক্তিদেরও স্মরণ করা হতে পারে এই ইস্তেহারের শুরুতে। কিন্তু শিল্প নিয়ে কী বলতে চাইছে বিজেপি?
শিল্পের কোনও বিকল্প নেই বলেই মনে করে বিজেপি। কিন্তু কোন জমিতে, কীভাবে জমি নেওয়া হবে, কৃষিজমিকে রক্ষা করে কী করে জমি নেওয়া হবে শিল্পের জন্য এসবের বিস্তারিত উপস্থিতি থাকছে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে। সার্ভিস সেক্টরের দিকেও নজর দিতে চায় বঙ্গ বিজেপি। তারও উল্লেখ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- Exclusive: ভোট আসে-যায়, থামে না গজরাজের আনাগোনা, আতঙ্কেই বেঁচে জঙ্গলমহল
রাজ্য সরকারের বিজনেস সামিট নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে। বিজনেস সামিট করে অর্থ ধংস না করে কীভাবে শিল্পপতিদের এই রাজ্যের প্রতি আকৃষ্ট করা যায় সেদিকে নজর রাখছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, শিল্পের জন্য জমি, শিল্পের পরিকাঠামো, অর্থাৎ বিদ্যুৎ, জল, কয়লা, রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি থাকতে পারে ইস্তেহারে। এছাড়া নাগরিক পরিকাঠামো গঠনের ওপর জোর দিতে চায় বঙ্গ বিজেপি। শিল্পনগরী তৈরি করা, ফিরিয়ে আনা হবে এসইজেড।
আরও পড়ুন- ‘পুরনো কর্মীরা কাঁদছেন’, গেরুয়া শিবিরে বিভাজন ধরাতে মরিয়া মমতা
সূত্রের খবর, ইস্তেহারে বামেদের বিঁধলেও সিঙ্গুরের ন্যানো প্রকল্প নিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রশংসা করেছে বিজেপি। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে শিল্প করতে গিয়ে যে কাণ্ড ঘটিয়েছে বামেরা তাঁর তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। ওই কারণেই শিল্পপতিরা এরাজ্যে আসছে না বলেই উল্লেখ থাকছে। সার্বিকভাবে বড় শিল্প-কারখানা, বন্ধ কারখানা খোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতে পারে বিজেপির ইস্তেহারে। পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণের সুষ্ঠু নীতির পরিবর্তন করতে চায় বিজেপি। শিল্প স্থাপনে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দিকেও নজর দিতে চায়।
ক্ষমতায় এলে বিশেষ শিল্প পার্ক গড়ার চেষ্টা করা হবে। অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং গ্রামীণ শিল্পের দিকে নজর দেবে বিজেপি। এসবই থাকতে পারে পদ্মশিবিরের ইস্তেহারে। অকৃষি জমি ও নির্দিষ্ট শিল্প মানচিত্রের ওপর জোর দেবে পদ্মশিবির। পর্যটন সার্কিট গড়ার কথা বলা হতে পারে। শিলিগুড়ির উন্নয়নের পাশাপাশি জেলার বেশ কিছু শহরে নগারায়নের পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। স্মার্ট সিটির উল্লেখ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে গেরুয়া ইস্তেহারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন