ফের অশান্তির আগুনে পুড়েছে মণিপুর। এবার অস্ত্র লুটপাটের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। ইউএপিএ-এর অধীনে নিষিদ্ধ একটি সংগঠনের সদস্যের মুক্তির দাবিতে মেইতেই বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি থানায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। সেই সঙ্গে ইম্ফলে আবারও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মণিপুরের হিংসা যেন কিছুতেই থামছে না। হিংসাত্মক বিক্ষোভের পর পুরো ইম্ফল উপত্যকায় আবার কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। কারফিউ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যসহ ৫ জনের মুক্তির দাবিতে কিছু মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এরপর প্রশাসন কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়। গত সপ্তাহে তোলাবাজির মামলায় এদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মে মাসের শুরু থেকেই মণিপুরের পরিস্থিতি খারাপ। উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট রাজ্যটি কয়েক মাস ধরে হিংসার কবলে রয়েছে। মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত হিংসায় কয়েক ডজন লোক প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আবারও হিংসার ঘটনায় ইম্ফলে ১০ জন আহত হয়েছেন। লোকজন থানায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। তারা পাঁচ জনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছিলেন।
অভিযুক্তের কাছ থেকে পাওয়া গেছে একে-৪৭, ইনসাস রাইফেল
মণিপুরে জাতিগত হিংসা কিছুটা কমতেই ইম্ফলে কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। তবে গতকালের হিংসার পর আবারও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে এই পাঁচজন ব্যক্তি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তোলা আদায় করছিলেন এবং তাদের কাছে AK-47 এবং ইনসাস রাইফেলের মতো মারাত্মক অস্ত্র পাওয়া গেছে, যেগুলি থানা থেকে লুট করা হয়েছিল।
বিক্ষোভকারীরা থানায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে
হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শ'য়ে শ'য়ে মানুষ থানায় পৌঁছে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তারা উত্তর ইম্ফলের প্রম্পট থানায় ঢোকার চেষ্টা করছিল। ইম্ফল পশ্চিমেও অনুরূপ বিক্ষোভ হয়েছিল এবং বিক্ষোভকারীরা সিংজামেই থানা এবং কোয়াকিথাল থানায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। একইভাবে, ইম্ফল পশ্চিম জেলার মায়াং থানা এবং আন্দ্রো থানার কাছেও বিক্ষোভ দেখায় মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষজন।
মণিপুর পুলিশ জুলাই মাসে জনগণকে পুলিশের ইউনিফর্মের অপব্যবহার বন্ধ করতে বলে একটি কঠোর সতর্কতা জারি করেছিল। খবর ছিল সশস্ত্র দাঙ্গাকারীরা পুলিশের ইউনিফর্ম ব্যবহার করে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে। কয়েকটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে ছেড়ে দিতে পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।