সিঙ্গুর, জমি আন্দোলনের এক নজির। প্রায় দেড় দশক আগের সেই আন্দোলনকেই পাথেয় করছে দিল্লি সীমানায় অবস্থানরত বিক্ষোভকারী কৃষকরা। তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কেন আন্দোলন, তা বোঝাতে ভাটোরে বাংলায় হাজির হয়েছেন কৃষক নেতৃত্ব। দিন কয়েক আগেই তাঁরা যান সিঙ্গুরে। সেখান থেকেই জমির দাবিতে সিঙ্গুরের আন্দোলনকে সফল বলে দাবি করেন প্রতিবাদী কৃষক নেতারা। ভিডিও বার্তায় ধর্নারত কৃষকদের কাছে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী দিনগুলোর কথা তুলে ধরেন।
হরিয়ানার ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়ানের নেতা গরুনাম সিং চাদুনি সম্প্রতি সিঙ্গুরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই দিল্লির সীমানায় প্রতিবাদী কৃষকদের কাছে ভিডিও বার্তায় সিঙ্গুরের কথা বলেন তিনি। ওই ভিডিও বার্তায় কৃষক নেতা চাদুনিকে বোলতে সোনা যাচ্ছে যে, 'আমি এখন সিঙ্গুরের সেই জমির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছি যা নামমাত্র দামে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবাদে বড়সড় আন্দোলন শিরি করেন কৃষকরা। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে বেশ কয়েকজন শহিদ হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কর্পোরেটদের চলে যেতে হয়েছে। দীর্ঘ আন্দোলনের পর কৃষকরা জমি ফিরে পেয়েছেন। এটা বিপ্লবের জমি, শহিদদের জমি।'
কৃষক নেতা গরুনাম সিং চাদুনির দাবি, 'দেশের সব জমি দখল করতে মরিয়া কর্পোরেটরা।' এরপরই সিঙ্গুরের কৃষি জমি আন্দোলন থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারী কৃষকদের পরামর্শ দেন চাদুনি।
আরেক ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ানের নেতা রাকেশ বেইনস বলেন, 'জমি ও কৃষক আন্দোলনের ক্ষেত্রে সিঙ্গুর এক উদাহরণ। তবে এখনও সবাই জমি ফিরে পাননি।' তাঁর দাবি, তিন কৃশি আইনে কর্পোরেটদের হাতে জমি তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। কৃষকরা এই ধরণের নীতি ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
সিঙ্গুর থেকে দিল্লি সীমানায় ফিরে হরিয়ানার কৃষক নেতা সুরেশ কোট জানান, কৃষকদের উপর যখন যেখানে অত্যাচার চালানো হয়েছে, তাঁদের জমি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলেছে সেখানেই শাসক দলের রাজনাতিক পতন হয়েছে, ইতিহাসে বারংবার সেই নজির রয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন