গত মাসে নয়ডার গ্র্যান্ড ওমেক্স সোসাইটিতে এক মহিলার ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত ত্যাগীকে বৃহস্পতিবার জামিন দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। গত ৯ আগস্ট মীরাট থেকে ত্যাগীকে গ্রেফতার করেছিল নয়ডা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা (মহিলার সম্ভ্রমহানি), ৪৪৭ (ফৌজদারি অপরাধ), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ পরে গ্যাংস্টার আইনের অধীনে ত্যাগীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। কারণ, ত্যাগীর সমর্থকরা অভিযোগকারিণীর গ্রেফতারের দাবিতে ওই হাউসিং সোসাইটিতে ঢুকে পড়েছিল। ত্যাগীকে তাঁর গাড়িতে ইউপি সরকারের স্টিকার ব্যবহার আর ছদ্মবেশ ধারণ করার অভিযোগেও অভিযুক্ত করে পুলিশ।
স্থানীয় আদালত অন্যান্য মামলায় ত্যাগীকে জামিন দিলেও, গ্যাংস্টার মামলায় তাঁর জামিন প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপরই এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই বিজেপি নেতা। নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ১৯৮৬ সালের উত্তরপ্রদেশ গ্যাংস্টারস অ্যান্ড অ্যান্টিসোশ্যাল অ্যাক্টিভিটিস (প্রতিরোধ) আইন একটি বিশেষ আইন। আর, এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন।
আরও পড়ুন: ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সন্দেহের চোখে দেখত ভারত,’ নিউ ইয়র্কে ফাঁস করে দিলেন জয়শংকর
ধারা ১৯ (৪) অনুযায়ী, 'এই আইন বা এর অধীনে প্রণীত কোন বিধির অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি, জামিন পাবেন না যদি না: (ক) সরকারি আইনজীবীকে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করার সুযোগ দেওয়া হয় এবং (খ) সরকারি আইনজীবী বিরোধিতা করলেও আদালত যুক্তিসঙ্গত কারণে মনে করে যে অভিযুক্ত এই ধরনের অপরাধে দোষী নন। আর, তিনি জামিনে থাকা অবস্থায় কোনও অপরাধ করার সম্ভাবনা নেই।'
নিম্ন আদালত আরও পর্যবেক্ষণ করেছিল যে অভিযুক্ত ব্যক্তি জালিয়াতি করে তাঁর গাড়িতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের স্টিকার লাগিয়েছিল, যা কার্যত ত্যাগীর গাড়িকে ভিআইপি নম্বর প্লেটের মর্যাদা দিয়েছিল। পাশাপাশি, ত্যাগী নিজেকে একজন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। যাতে নিজের এবং দলের জন্য তিনি আর্থিক ও অন্যান্য বৈষয়িক সুবিধা পেতে পারেন।
Read full story in English