সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে লেখা খোলা চিঠিতে ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা বিচারপতি। মহিলা বিচারক প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছেন তিনি স্বেচ্ছামৃত্যু চান। বান্দা জেলার এক মহিলা সিভিল জজ বৃহস্পতিবার সিজেআই-এর কাছে এই আবেদন করেছেন। মহিলা বিচারকের অভিযোগ, তাঁকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। এখন CJI এলাহাবাদ হাইকোর্ট প্রশাসনের কাছে মহিলার যৌন হেনস্থা নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। প্রশাসনকেও তলব করেছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
CJI-কে মহিলা বিচারপতির লেখা চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। দু পাতার একটি চিঠিতে, মহিলা বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লিখেছেন যে বারাবাঙ্কিতে তার পোস্টিংয়ের সময় তাঁকে লাঞ্ছিত ও যৌন হয়রানি করা হয়, যার কারণে তিনি ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন। সেখানে জেলা জজের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা বিচারক।
মহিলা বিচারক লিখেছেন, 'আমার আর বাঁচার ইচ্ছে নেই। গত দেড় বছরে আমি জীবন্ত লাশে পরিণত হয়েছি। এই প্রাণহীন দেহকে বাঁচিয়ে রাখার কোনো মানে হয় না। আমার জীবনের কোন উদ্দেশ্য বাকি নেই। আমাকে মর্যাদাপূর্ণভাবে আমার জীবন শেষ করার অনুমতি দিন। মহিলা বিচারপতির এই চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে।
এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সিজেআই-এর নির্দেশে, সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল অতুল এম কুর্হেকার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে একটি চিঠি লিখে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি এই বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রতিবেদন চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, CJI প্রশাসনিক দিক থেকে হাইকোর্টের কাছে এই বিষয়ে উত্তর চেয়েছেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত ৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ওই মহিলা। বুধবার বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি হয়। বুধবারের কার্যক্রম চলাকালীন বেঞ্চ বলেছে যে বর্তমানে কোনো বিচার বিভাগীয় আদেশ জারি করার প্রয়োজন নেই কারণ আইসিসি ইতিমধ্যেই মহিলা বিচারকের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। বেঞ্চ বলেছিল যে মহিলা বিচারকের অভিযোগের ভিত্তিতে আইসিসি গঠিত হয়েছিল এবং তাই এটি অপেক্ষা করা উচিত।