/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/04/oxygen-death.jpg)
কোভিদের দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি যা চিন্তা বৃদ্ধি করছে তা হল অক্সিজেনের ঘাটতি এবং মৃত্যু হার। পরিসংখ্যান বলছে দেশে এই হার প্রায় সমান। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুতেও নেই কোনও বাদবিচার। কম বয়স, বেশি বয়সের বৈষম্য নেই করোনা হানায়।
একাধিক রাজ্য অক্সিজেনের আকালের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রকে। যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে সেই একই হারে অক্সিজেন উৎপাদন কার্যত অসম্ভব। প্রতিটি রোগী যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তাঁদের দেহে অক্সিজেনের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে চাহিদা মেটাতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলি। দেশব্যাপী ৪০ টি কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী অক্সিজেন চাহিদা গত বছরের সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর থেকে ১৩.৪ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন, ‘আর আটকে থাকতে চাই না’, নিজভূমে ফেরার হিড়িক ভীতসন্ত্রস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের
বর্তমানে দেখা গিয়েছে করোনায় আক্রান্ত বেশিরভাগেরই প্রাথমিক লক্ষণ থাকছে শ্বাসকষ্ট। ৪৭.৫ শতাংশ রোগীর দেহে অন্যান্য উপসর্গের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট থাকছে অনেকটাই। আইসিএমআর এর ডিরেক্টর বলরাম ভার্গব বলেন, "কোভিডের প্রথম ধাপে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ৯.৬ শতাংশ (প্রথম তরঙ্গ) এর তুলনায় ৯.৭ শতাংশ (দ্বিতীয় তরঙ্গ) ছিল। দ্বিতীয় তরঙ্গে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা প্রথমদিকে ৪১.১ শতাংশের তুলনায় ৫৪.৫ শতাংশ বেশি ছিল। এটি তাৎপর্যপূর্ণ।"
ভয়াবহ পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৭০ জন। সংক্রমণ কমলেও বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ৭৬১ জন। এরই মধ্যে অক্সিজেনের অভাব আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। সেই অভাব মেটাতে এবার ট্রেনে করে দেশের এক জায়গা থেকে অপর জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিল রেল মন্ত্রক। চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত তরল অক্সিজেন ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার জন্য ছুটবে অক্সিজেন এক্সপ্রেস।
এদিকে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। পরিকাঠামো নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। অক্সিজেনের অভাবে করোনা আক্রান্তে মৃত্যুর খবর আসছে বহু রাজ্য থেকেই।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন