দেশজুড়ে হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। দ্রুত আক্রান্তের নিরিখে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ৮ রাজ্যের। তালিকার শীর্ষে মহারাষ্ট্র রয়েছে। তারপরই স্থান পশ্চিমবঙ্গর। এরপর রয়েছে দিল্লি, কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড এবং গুজরাট। বুধবার এই ঘোষণা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশের ২৮টি জেলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এগুলিতে গত এক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার প্রায় ১০ শতাংশ। ৪৩টি জেলায় পজিটিভিটির হার ৫-১০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে গত আট দিনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৬.৩ গুণেরও বেশি।
উল্লেখ্য, বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এক দিনে আক্রান্ত ৫৮ হাজার ৯৭ জন। বাংলার পরিস্থিতি ভয় ধরাচ্ছে। মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য দফতর রিপোর্ট মোতাবেক দৈনিক সংক্রমিত ৯ হাজার ৭৩ জন। প্রাণ গিয়েছে ১৬ জন।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সাফ জানিয়েদিল, গত ৩১ ডিসেম্বর রাজস্থানের উদয়পুরে ওমিক্রন আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর মৃত্যু হয় ওমিক্রনের কারণেই। বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল বলেছেন, 'এটাই ভারতে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যু। রাজস্থানের মৃত ব্যক্তি প্রবীণ ও তাঁর ডায়েবেটিস ছিল।'
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে স্পষ্ট হয়েছিল যে ৭৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ৭৩ বছর বয়সী ওমিক্রন দ্বারা সংক্রামিত ছিলেন এবং দু'বার তাঁর নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। পরে ৩১ ডিসেম্বর উদয়পুরের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি কোভিড-পরবর্তী নিউমোনিয়া সহ কমরবিডিটিস-ডায়াবেটিস মেলিটাস, হাইপারটেনশন এবং হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে মারা গিয়েছেন- উদয়পুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমএইচও) ডাঃ দীনেশ খারাদি এই ঘোষণা করেছিলেন।
উদয়পুরের ওই প্রবীণ ব্যক্তির গত ১৫ ডিসেম্বর কোভিড পরীক্ষা হয়েছিল। জ্বর, সর্দি, কাশি মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ২৫ ডিসেম্বর প্রাপ্ত জিনোম সিকোয়েন্সিং ফলাফলে জানা যায় যে প্রবীণ ওই ব্যক্তি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রামিত।
Read in English