পুলোয়ামায় জঙ্গি বিস্ফোরণের তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এনআইএ-কে ভাবিয়ে তুলেছে একটা মারুতি গাড়ি। বিস্ফোরণস্থলের ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করতে গিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে ২০১১ সালে তৈরি হওয়া মারুতিটির চাবি।
চাবি হাতে পাওয়ার পর এনআইএ দল পৌঁছে যায় মারুতি ইকোর প্রথম মালিকের কাছে। জানতে পারা যায় কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা সজ্জদ ভাট পুলোয়ামা হামলার দিন দশেক আগেই গাড়িটি কিনেছিলেন।
জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য এবং বিস্ফোরণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে যার বিরুদ্ধে, সেই আদিল আহমেদ দর ১৪ ফেব্রুয়ারির দুপুরে মারুতি ইকোটি চালাচ্ছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল, যে ৪০জন সিআরপিএফ জওয়ান বাহক বাসটি একটা ধাতব দলায় পরিণত হয়, আর মারুতিটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন, দেশে ফেরার পর শনিবার কী করছেন অভিনন্দন?
এনআইএ-র তদন্তকারী দল জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে বিস্ফোরণ স্থলটি পরিদর্শন করেছে। মারুতি গাড়ির দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অংশ থেকে উদ্ধার করা গেছে ২৫ লিটারের জেরি ক্যান। এইখানেই ৩০ কেজি-র আরডিএক্স নিয়ে আসা হয়েছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
মারুতি ইঞ্জিনিয়রদের সাহায্যে নানা পরীক্ষার পর এনআইএ-র দল সিদ্ধান্তে এসেছে মারুতিটি ২০১১ সালে তৈরি হয়েছিল। এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন প্রায় সপ্তাহ খানেক লেগেছে মারুতির আসল মালিকের কাছে পৌঁছোতে। "বিস্ফোরণের তীব্রতা বিচার করে আমরা বুঝি, গাড়ির ধ্বংসাবশেষ শুধুমাত্র জাতীয় সড়কের ওপরেই পড়ে থাকবে না। তাই মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চারপাশের ২০০ মিটার জায়গা স্ক্যান করা হয়। তখনি পাওয়া যায় গাড়ির চাবিটি", জানালেন ওই আধিকারিক।
চেসিস নম্বর গাড়ির চাবিতে উল্লেখ থাকায় গাড়ির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে সুবিধে হয়েছে। ১৯ অংকের ভিআইএন (ভেহিকেল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) প্রত্যেক গারির ক্ষেত্রে আলাদা হয়।
এনআইএ-র অনুমান ২২ বছরের ভাট বিস্ফোরণের দিন দশেক আগে এই উদ্দেশেই গাড়িটি কিনেছিলেন। গাড়ি বিক্রির পুরো প্রক্রিয়াটির মধ্যে দালাল গোছের একজন ছিলেন। আপাতত এনআইএ জেরা করছে তাকে। গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে কাশ্মীরের জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে ভাটের প্রায় বছর দুয়েক আগে থেকেই সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে ঠিক কবে আহমেদ দরের সংস্পর্শে আসে ভাট, তা এখনও জানতে পারেনি এনআইএ।
Read the full story in English