রাজস্থানের উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পাকিস্তান যোগ খুঁজে পেল পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের দুই অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ ও ঘাউস মহম্মদকে রাজসমুন্দ জেলা থেকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ঘাউস মহম্মদ ২০১৪ সালে করাচিতে গিয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তার কাছ থেকে পাকিস্তানের বেশ কিছু ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। ওই সব ফোন নম্বর যাদের, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত এই অভিযুক্ত।
তদন্ত যেহেতু এখনও চলছে সেই জন্য বিশদে জানাতে রাজি হননি রাজস্থান পুলিশের কর্তারা। তবে রাজস্থান পুলিশের ডিজিপি এমএল লাথের জানিয়েছেন, নিহত কানাহাইয়া লালের সঙ্গে অভিযুক্তদের আগে পরিচয় ছিল না। তারপরও স্রেফ সাম্প্রদায়িক কারণে তারা কানহাইয়া লালকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। জেরায় পুলিশকে এক অভিযুক্ত জানিয়েছে যে সে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র নিজের হাতে তৈরি করেছিল। কানহাইয়া লালকে কীভাবে হত্যা করবে, তার পরিকল্পনা করে সেই ভাবে অস্ত্রটি বানিয়েছিল।
রাজস্থান পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত গাউস মহম্মদ করাচিতে গিয়ে, 'দাওয়াত-ই-ইসলামি'র অফিসে যোগাযোগ করেছিল। সেখানে সে ৪৫ দিন ছিল। পাশাপাশি ২০১৮-১৯ সালে অভিযুক্ত ঘাউস মহম্মদ আরব দেশগুলোতেও গিয়েছিল। নেপালেও গিয়েছিল কয়েকবার। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত গত ২-৩ বছরে পাকিস্তানের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা বলেছে। সে যে অন্তত ৮ থেকে ১০ বার পাকিস্তানের বিভিন্ন লোকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিল, তা ধৃতের কল রেকর্ড দেখেই জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- আস্থাভোট না-হলে সংবিধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অভিযোগ শিণ্ডের আইনজীবীর
রাজস্থানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের কাজকর্ম সাধারণ মানুষের মতো নয়। তারা যেভাবে খুন করেছে, সেটা আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষ পারবে না। তাই এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেবে এনআইএ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা অভিযুক্তদের গতিবিধি সম্পূর্ণ খতিয়ে দেখবেন। সব মিলিয়ে বলতে গেলে কানহাইয়া লালের হত্যাকারীরা কোনওভাবেই ছাড় পাবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা যদি জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোন দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে, সেগুলোও খুঁজে বের করা হবে। পাশাপাশি, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাও অভিযুক্তদের গতিবিধি খতিয়ে দেখবে। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি যোধপুর সফর শেষ করে বুধবার জয়পুরে ফিরে এসেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন। বৈঠকে রাজস্থানের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
Read full story in English