শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ‘ঝাঁঝরা’ ইউক্রেন, বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কিয়েভ। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, কিয়েভ, পশ্চিম ইউক্রেনের জাইটোমির এবং ওডেসাতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এসব এলাকায বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গতকালই রাশিয়া ইউক্রেনের একাধিক শহরে ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইউক্রেন জুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। প্রাণভয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন সাধারণ মানুষ। রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহর বিস্ফোরণের কেঁপে ওঠে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেন জুড়ে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালানোর একদিন পরে, রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দাদের শুক্রবার ভোরে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এদিনও বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে রাজধানী কিয়েভে। কিয়েভের প্রশাসন টেলিগ্রাম অ্যাপ চ্যানেলে বিমান হামলার সাইরেন সম্পর্কে একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কিয়েভের গভর্নর ওলেকস্কি কুলেবা বলেছেন শহর জুড়ে "ড্রোন" অ্যাটাক চলছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর জানিয়েছেন কিয়েভের ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) জুড়ে দক্ষিণে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ এবং বিমান হামলার শব্দ শোনা গিয়েছে। একটি ভিডিও ভাষণে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, মধ্য, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম ইউক্রেনের বিমান কমান্ড বৃহস্পতিবার ৫৪টি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১১টি ড্রোন প্রতিহত করেছে'। জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন যে ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চল বিদ্যুৎহীন। তিনি বলেন "আমাদের সেনারা রাশিয়ার একাধিক বিমান এবং ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে। তা না হলে আরও বড় ধরণের অঘটন ঘটতে পারত।
রয়টার্সের শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে দমকল কর্মীরা কিয়েভের বাড়িগুলিতে আগুন নেভানোর পাশাপাশি ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ করছেন। ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে চারিদিক। এর আগে, ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয় বৃহস্পতিবারের রুশ হামলার সময় ১২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে সর্বশেষ হামলায় প্রায় ১৮টি আবাসিক ভবন এবং ১০টি সরকারি ভবন ধ্বংস হয়েছে।