/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/biden.jpg)
শুধু ভারতই না। মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় কাবু মার্কিন অর্থনীতিও। গতমাস, মানে মে মাসেও দামের ঊর্ধ্বগতি মার্কিন অর্থব্যবস্থাকে ধাক্কা দিয়েছে। যাকে সামাল দিতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে মার্কিন ফেডারেল ব্যাংককে। এর আগে ১৯৮১ সালের শেষের দিকে এভাবেই মার্কিন অর্থনীতি মুদ্রাস্ফীতির জ্বালায় নাজেহাল হয়েছিল। তবে, এবার বিষয়টিকে প্রথম থেকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর ওপর ভরসা রেখেই আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবার সহজেই বিষয়টিকে সামলে নেওয়া যাবে।
পরিসংখ্যান বলছে, আমেরিকায় উপভোক্তা মূল্য গত একবছরে ৮.৬% বেড়েছে। শুধু, এপ্রিল থেকে মে মাসেই বেড়েছে ১%। যা অর্থনীতিবিদদের ধারণার চেয়ে বেশি তো বটেই। আগের চেয়েও এই বৃদ্ধির গতি প্রাণ তিনগুণ। বিশেষ করে জ্বালানির গ্যাসের দাম ক্রমশ বাড়ছে। এর অন্যতম কারণ, রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ। পাশাপাশি, যুদ্ধের জন্য বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের দামও বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধির ওপর।
আর, এর ফলেই শুক্রবার প্রকাশিত উপভোক্তা মূল্য মার্কিন প্রশাসনের আধিকারিকদের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, যেমনটা ভেবেছিলেন, মার্কিন অর্থনীতি একদমই সেভাবে চলছে না। গ্যাস-সহ পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে সব জিনিসেই তার প্রভাব পড়েছে। যাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমজনতাকে। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা চেয়েছিলেন মুদ্রাস্ফীতিকে ২%-এ আটকে রাখতে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছে তা পারা যায়নি।
এই মুদ্রাস্ফীতির ফলে শুধু ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা-ই নয়। ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভারতের মতো মার্কিন ফেডারেল ব্যাংকও রেপো রেট বাড়াতে চলেছে। আগামী সপ্তাহে এই নিয়ে মার্কিন আর্থিক নীতিনির্ধারক কমিটি বৈঠক করবে। সেখানে অর্ধশতাংশ রেট বাড়ানো হতে পারে। ফের, রেট একই হারে বাড়ানো হতে পারে জুলাইয়েও।
আরও পড়ুন- যুদ্ধে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, এতদিনে স্বীকার ইউক্রেনের, পরিসংখ্যান আঁতকে ওঠার মত
আর, সেপ্টেম্বরে রেপো রেট আরও একটু বেশিমাত্রায় বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত উপভোক্তা সূচক দেখে এমনটাই আশঙ্কা করছেন মার্কিন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আশঙ্কা, রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায় মন্দার সম্ভাবনা বাড়বে।
Read full story in English