উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে বড়দিনেই আক্রান্ত হলেন খ্রিস্টান মিশনারিরা। মিশনারিদের একটি দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা জোর করে ধর্মান্তরণ চালাচ্ছিলেন। সেই অভিযোগে দিন দুই আগে লাঠিসোঁটা নিয়ে ৩০ জনেরও বেশি একটি দল তাঁদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। উভয় পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। যার ভিত্তিতে পুরোলা থানায় উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে, এফআইআর অনুযায়ী, এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ আধিকারিকরা এই ব্যাপারে পরিস্থিতি বুঝে এগোতে চাইছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, আপাতত এলাকায় শান্তি বজায় আছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।
পুলিশ জানিয়েছে, মুসৌরির ইউনিয়ন চার্চের যাজক লাজারাস কর্নেলিয়াস এবং তাঁর স্ত্রী সুষমা কর্নেলিয়াস ছিওয়ালা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন ভবনে প্রার্থনার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সেই সময় স্থানীয় একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ধর্মান্তরণের অভিযোগে সুরু হয় বিতণ্ডা। স্থানীয় খ্রিস্টান বাসিন্দারা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় “বিশ্বহিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-এর নেতা বীরেন্দ্র সিং রাওয়াত অভিযোগ করেছেন যে, বহিরাগতরা ছিওয়ালা গ্রামে প্রবেশ করেছিল। তারা এলাকাবাসীকে ধর্মান্তরিত করছে। এনিয়েই উভয় পক্ষের মধ্যে কিছুটা হাতাহাতি হয়েছে। বীরেন্দ্র সিং রাওয়াতের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে, অভিযুক্ত যাজক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন পুরোলা থানার আধিকারিক (এসও) কোমল সিং রাওয়াত।
আরও পড়ুন- নামেই প্লাম কেক, অথচ প্লাম নেই, কীভাবে সেটাই ভারতে ক্রিসমাসের কেক হয়ে গেল?
পুলিশ অফিসার কোমল সিং রাওয়াত আরও বলেন, 'খ্রিস্টান মিশনারিরাও অভিযোগ করেছেন যে, তাঁরা আরাধনায় ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন এসে তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাঁদেরকে মারধর করা হয়েছে। আমরা এই অভিযোগে একটা এফআইআর করেছি। ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' ১৫৩এ (সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত), ৫০৪ (শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান)-এর অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
Read full story in English