IT Raid: কর ফাঁকির অভিযোগে সংবাদ মাধ্যম দৈনিক ভাস্করের একাধিক সম্পত্তিতে তল্লাশি চালাল আয়কর দফতর। যদিও এটা করোনাকালে সরকার-বিরোধী খবর প্রকাশের শাস্তি। এভাবেই সংস্থার ওয়েবসাইটে সুর চড়িয়েছে এই সংবাদ মাধ্যম। তারা লিখেছে, ‘দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সরকারি ব্যর্থতার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার জন্যই এই আয়কর হানা।‘
জানা গিয়েছে, এই সংবাদগোষ্ঠীর মধ্য প্রদেশ, গুজরাত, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের অফিসেও চলেছে তল্লাশি। এই অভিযান নিয়ে সরকারি কোনও বিবৃতি নেই। কিন্তু আয়কর দফতরের একটি সুত্র এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে।
এই অভিযান প্রসঙ্গে সংবাদ গোষ্ঠী সূত্রে খবর, অভিযানের সময় একাধিক কর্মীর মোবাইল ফোন তারা বাজেয়াপ্ত করেছে। এমনকি, আয়কর হানার সময় প্রত্যেকেই ‘বন্দি’ করে রাখা হয়েছিল। বেরোতে দেওয়া হয়নি অফিসের বাইরে। আয়কর অভিযানের অংশ হিসেবেই এই ফোন বাজেয়াপ্ত এবং কর্মীদের নজরবন্দি করে রাখা। আয়কর দফতর এমনটাই জানিয়েছে সেই সংবাদ মাধ্যমকে। যদিও মোবাইলের নথির ফরেন্সিক পরীক্ষার পর সেগুলো হস্তান্তর করা হবে। এমনটাও আয়কর অফিসাররা জানিয়েছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন সংক্রমণে মৃত্যুর একাধিক খবর ধারাবাহিক ভাবে ছাপিয়েছে এই প্রচার মাধ্যম। এমনকি, গঙ্গায় দেহ ভাসিয়ে দেওয়া নিয়েও তারা সরব হয়েছিল। ইতিমধ্যে ভারত সমাচার টিভি তাদের অফিসিয়াল ট্যুইটার পেজে জানিয়েছে, মুখ্য সম্পাদক ব্রজেশ মিশ্র, রাজ্য ডেস্কের প্রধান বীরেন্দ্র সিং এবং কয়েকজন কর্মীর বাড়িতেই হানা দিয়েছেন আয়কর আধিকারিকরা।
এই অভিযানের সমালোচনায় সরব এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যমের ওপর আঘাত ঘুরিয়ে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার কতটা ব্যর্থ, সেই খবর সাহসের সঙ্গে ছাপিয়েছে দৈনিক ভাস্কর।' দেখুন সেই ট্যুইট:
যদিও এই ঘটনায় সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। দলের সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেন, ‘করোনার সময় সরকার-বিরোধী খবর প্রচারের মূল্য এভাবেই দিতে হল। দৈনিক ভাস্কর ধারাবাহিকভাবে কোভিড মোকাবিলায় মোদী সরকারের ব্যর্থতার খবর ছাপিয়ে গিয়েছে। এটা তারই শাস্তি। অরুণ সৌরি যেমন বলেছেন অঘোষিত জরুরি অবস্থা। এটা তেমন মোদী ঘোষিত জরুরি অবস্থা।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন