Advertisment

আম্বানি পরিবারকে কালো টাকা আইনে আয়করের নোটিস

তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই আম্বানি পরিবারের সদস্যদের নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতরের মুম্বাই শাখা। বিভিন্ন দেশের সংস্থার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করে আয়কর দফতর। তারপরই ২০১৫ সালের কালো টাকা আইন অনুশারে এই নোটিস পাঠানো হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Income Tax Office

আয়কর দফতর

অপ্রকাশিত বিদেশি আয় ও সম্পত্তির অভিযোগ উঠল রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানির পরিবারের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই আম্বানি পরিবারের সদস্যদের নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতরের মুম্বাই শাখা। বিভিন্ন দেশের নানা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করছে আয়কর দফতর। এরপরই ২০১৫ সালের কালো টাকা আইন অনুসারে এই নোটিস পাঠানো হয়।

Advertisment

জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৮ মার্চ এই নোটিস আম্বানি পরিবারের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশের স্ত্রী নীতা আম্বানি ও তাঁদের তিন সন্তানের নামে আয়কর দফতর এই নোটিস পাঠিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ ও সম্পত্তি প্রকাশ না করার অভিযোগ রয়েছে।

জেনিভার এইচএসবিসি-তে প্রায় ৭০০ ভারতীয় ব্য়ক্তি বা তাদের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত নথি ২০১১ সালে ভারত সরকারের হাতে আসার পরই তদন্তে নামে আয়কর দফতর। এরপরই ২০১৫ সালে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং আন্তর্জাতিক স্তরের তদন্তকারী সাংবাদিকদের মোর্চা 'সুইশ লিকস' এ বিষয়ে তথ্য-তালাশ শুরু করে। এই তল্লাশিতে জানা যায়, জেনিভার এইচএসবিসি-তে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের এই সংখ্যাটা ১১৯৫ (যা প্রথমিকভাবে ৭০০ বলে জানা গিয়েছিল)।

আরও পড়ুন: রাজীব কুমারকে তলবি নোটিস সিবিআইয়ের, আজই হাজিরার নির্দেশ

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্তেই প্রথম উঠে আসে, জেনিভার এইচএসবিসি ব্যাঙ্কের ১৪টি অ্যাকাউন্টগুচ্ছের কথা। করফাঁকির স্বর্গরাজ্যের এই অ্যাকাউন্টগুলিতে সম্মিলিতভাবে প্রায় ৬০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রাখা ছিল এবং পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত প্রতিটি অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন বৈদেশিক সহযোগীদের জটিল চেনের মাধ্যমে রিলায়েন্স গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরবর্তীকালে ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত আয়কর বিভাগের বিশদ রিপোর্টে এবং চলতি বছরের ২৮ মার্চ পাঠানো নোটিসে জানা যায়, ওই ১৪টি অ্যাকাউন্টের অন্যতম 'ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট'-এর 'মূল সুবিধাভোগী' হিসাবে আম্বানি পরিবারের নাম উল্লিখিত আছে। এই অ্যাকাউন্টটিও একাধিক দেশি ও বিদেশি যোগসূত্রের মাধ্যমে পরিচালিত হত।

তবে আয়কর দফতরের এই নোটিস এবং মূল অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রশ্নের উত্তরে রিলায়েন্সের এক মুখপাত্র বলেন, "আপনাদের পাঠানো ই-মেইলের যাবতীয় বিষয় আমরা অস্বীকার করছি এমনকি নোটিসের বিষয়টিও"। কিন্তু, এই নোটিস আদৌ আম্বানিদের পাঠানো হবে কিনা সে বিষয়ে আয়কর দফতরের মুম্বই শাখা এবং কেন্দ্রের শীর্ষকর্তাদের একপ্রস্থ টানাপোড়েন হয় এবং শেষ পর্যন্ত নোটিস পাঠানোর আগের দিনই অনুমতি মিলেছে বলে জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

Read the full story in English

Income Tax
Advertisment