Fertility in India: অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধে দেশব্যাপী বেড়েছে গর্ভনিরোধক বড়ির ব্যবহার। এই উদ্যোগে সার্বিকভাবে প্রভাবিত দেশের মোট প্রজনন ক্ষমতা। জাতীয় পরিবার-স্বাস্থ্য সমীক্ষার সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। গত ৫ বছরে ৮.৭% বেড়েছে আধুনিক গর্ভনিরোধক বড়ির ব্যবহার। ২০১৫-১৬ সালে দেশব্যাপী এই বড়ি ব্যবহারের হার ছিল ৪৭.৮%। ২০২০-২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬.৫%।
দেশের মোট ৩৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ৩০টি রাজ্যে বেড়েছে গর্ভনিরোধক বড়ির ব্যবহার। জনসংখ্যা এবং প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত, গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহারে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের পরিসংখ্যান উৎসাহব্যঞ্জক। জনঘনত্বের বিচারে বিহার এগিয়ে থাকা রাজ্য। সেই রাজ্যে গত ৫ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে গর্ভনিরোধক বড়ির ব্যবহার। ২০১৫-১৬ সালে ছিল ২৩.৩%, ২০২০-২১ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৪.৪%।
দেশে জনসংখ্যা কাউন্সিলের অধিকর্তা চিকিৎসক নিরঞ্জন সাগার্ট বলেছেন, ‘প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের পিছনে তিনটি মূল কারণ। গর্ভনিরোধক ব্যবহার, বিয়ের বয়স বেড়ে যাওয়া এবং গর্ভপাত। ২০১৫-১৬ সালে যখন কিশোরী মেয়েদের বিয়ের হার ছিল ৪৩%, গত ৫ বছর অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪১%। তবে অবাঞ্ছিত গর্ভরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সময়ে গর্ভনিরোধকের ব্যবহার এক আশাপ্রদ ছবি। দেশের অঙ্গরাজ্যগুলো পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে যে ইতিবাচক প্রচার চালিয়েছে। এটা সেই উদ্যোগের ফসল। সেভাবেই বিহারজুড়ে সাক্ষরতার হার বাড়ায় পরিবার পরিকল্পনায় গর্ভনিরোধকের ভূমিকা বাড়িয়ে দিয়েছে।‘
একইভাবে উত্তর প্রদেশে আশাব্যাঞ্জক হারে কমেছে কিশোরী মেয়েদের বিয়ের হার। ২০১৫-১৬ সালে ১৮-এর নীচে মেয়েদের বিয়ের হার ছিল ২১%, ২০২০-২১-এ সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে ১৬%। এমনটাই জানান ওই স্বাস্থ্যকর্তা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন