প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫২ শতাংশ ভোটে জয়ী এরদোগান। তুরস্কে দ্বিতীয় দফার ভোটে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মত প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য রবিবার সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিকাল ৫টায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। গণনা শেষে ফের কুর্সিতে এরদোগান।
ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ইস্তাম্বুলের বাড়ির বাইরে সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়ে। তিনি সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, 'আমি দেশের সকল জনসাধারণের কাছে কৃতজ্ঞ, আমাকে আবারও আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশের সর্বোচ্চ দায়িত্ব দিয়েছেন'।
তুরস্কের সাধারণ নির্বাচনে আবারও জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি দেশের নাগরিকদের তার প্রতি তাদের আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আবারও ক্ষমতায় বসতে চলেছেন তিনি। তুরস্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা অনানুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানিয়েছে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। ৯৭ শতাংশ ব্যালট বাক্স খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবারের দ্বিতীয় রাউন্ডে এরদোগান ৫২.১ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। যেখানে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৯ শতাংশ ভোট। এই জয়ের ফলে ২০ বছর ক্ষমতায় থাকা এরদোগান আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তুরস্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, এরদোগান পেয়েছেন ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং অন্যদিকে কামাল কিলিচদারোগ্লু ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রাক্তন আমলা কিলিচদারুলুর নির্বাচনী প্রচারের মূল হাতিয়ার ছিল, বিকল্প উপায়ে দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা। মূল্যবৃদ্ধি তুরস্কের সাম্প্রতিক সংকটগুলির মধ্যে অন্যতম। সেই সঙ্গে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ৫০হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে তা জনতার মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছে, তার প্রমাণ নির্বাচনী ফলাফল। আগামী ৫ বছরের জন্য এরদোগানের হাতেই দেশের ভার তুলে দিলেন তুরস্কের জনতা। তৃতীয়বার এই দায়িত্ব পেয়ে কোন পথে দেশকে চালিত করেন তিনি, সেটাই দেখার।
এরদোগান ফেব্রুয়ারিতে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রথম দফার নির্বাচনে প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ভূমিকম্পে তুরস্কে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সমালোচকরাও নির্বাচনী ফলাফলে বিস্মিত কারণ দুর্যোগের উদ্ধারভিযান নিয়ে কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছিল সেদেশের সরকার। এর পর ধারণা করা হচ্ছিল এবার হয়ত ক্ষমতা হারাবেন এরদোগান।
রবিবার সকাল ৮টায় তুরস্কে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। প্রথমে এরদোগান এগিয়ে গেলেও কয়েক ঘণ্টা পর কিলিচদারোগ্লু ব্যবধান বাড়াতে সক্ষম হন। কিন্তু ফলাফল শেষে আবারও জয়ের হাসি এরদোগানের মুখ। এবারের নির্বাচনে প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।