স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বানচালের পরিকল্পনা। ১৫ আগস্ট লাল কেল্লায় বিক্ষোভ হতে পারে, সতর্ক নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি লাল কেল্লায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় কুকি বা মেইতি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভের বিষয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশকে সতর্ক করেছে৷ একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তেরঙ্গা উত্তোলন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, কিছু সরকারবিরোধীর ‘প্ল্যাকার্ড’ সেই সঙ্গে স্লোগান দেওয়ার ষড়যন্ত্র-এর বিষয়ে মিলেছে বিশেষ সতর্কতা। এই বিষয়ে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের ঘটনা এড়াতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি লাল কেল্লায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় কুকি বা মেইতি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভের বিষয়ে সতর্ক করেছে৷ রিপোর্ট হাতে আসার পর স্বাধীনতা দিবসের আগে নিরাপত্তা প্রস্তুতিতে কোনরকম খামতি রাখতে চাইছে না করার জন্য স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (SPG), CISF, দিল্লি পুলিশ এবং রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স।
এপ্রসঙ্গে প্রশাসনের এক সিনিয়ার আধিকারিক বলেছেন ইতিমধ্যেই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সব ধরণের হুমকি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের মাত্র মাস খানেকের মধ্যেই সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে G20 শীর্ষ সম্মেলন। আর সেকথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। অনুষ্ঠানের আগে বা অনুষ্ঠান চলাকালীন যে কোন ধরণের প্রতিকূল ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে। তাই সতর্ক রয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে করেছে যে বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের সমস্যাগুলি তুলে ধরার জন্য স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানকেই বেছে নিয়েছে।
কৃষকদের দাবি, অভিন্ন দেওয়ানি আইন, শ্রম/পরিষেবা সম্পর্কিত বিষয়গুলি ছাড়াও, মণিপুরের পরিস্থিতিও রয়েছে সম্ভাব্য তালিকায়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কেও দিল্লি পুলিশকে বিশেষ সতর্ক করেছে। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।