রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফের রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভোট দিল না ভারত। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির বৈঠকে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। পাশাপাশি নাগরিকদের সুরক্ষিত এবং বাধাহীন প্যাসেজের আবেদন জানিয়েছে ভারত। বিশেষ করে পড়ুয়াদের সুরক্ষিত ভাবে ইউক্রেন ছাড়তে দেওয়া হোক। ভারতের দাবি, সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ আলোচনা এবং কূটনীতি।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেছেন, "ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। দ্রুত পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।" খারকিভে ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়া নবীন শেখরাপ্পার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে তিরুমূর্তি বলেছেন, "খারকিভে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাঁর এবং সমস্ত নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।"
তিরুমূর্তির দাবি, "সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষিত এবং বিনা বাধায় ইউক্রেন ছাড়তে দিতে হবে। এমনকী ভারতীয় পড়ুয়াদেরও। খারকিভ এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাকি শহরগুলিতে বহু ভারতীয় পড়ুয়া এখনও আটকে রয়েছেন। অনেকেই তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ভারত সরকারের কাছে।" তাঁর দাবি, "রাশিয়া এবং ইউক্রেনের কাছে আমাদের এক এবং একমাত্র দাবি এটাই। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে ভারত ভোটদানে বিরত থাকবে।"
আরও পড়ুন Explained: রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের নীতি ভারসাম্যের, নীতিটা কতটা নৈতিক?
এদিকে, রুশ আগ্রাসনে ধ্বস্ত ইউক্রেন। লন্ডভন্ড সেদেশের রাজধানী কিয়েভ। রুশ হামলায় প্রতিদিনই মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই নিহত এক ভারতীয় পড়ুয়া। এই অবস্থায় সেদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিয়ে চিন্তায় দিল্লি। আগেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতদের সেদেশ থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপদে ফেরাতে সেফ প্যাসেজ দেওয়ার দাবি করেছিল দিল্লি।
আরও পড়ুন বিশ্বযুদ্ধের ভ্রুকুটি, দিল্লির অবস্থান নিয়ে ধন্দ, মোদীর উপস্থিতিতে কোয়াডে তুলকালামের সম্ভাবনা?
এবার, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে একই দাবি জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জানা গিয়েছে, খারকিভে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার কথা হয়েছে।