ইউক্রেনে রুশ হামলা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে এক পথে ভারত-চিন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থাকল দুই দেশ। ভারত-চিনের পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে ছিল না সংযুক্ত আরব আমিরশাহীও।
ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানীতে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনা। ইউক্রেনের একের পর এক সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ ফৌজ। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের বিরোধিতায় সরব হয়েছে আমেরিকা, আলবেনিয়া। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে যৌথ ভাবে প্রস্তাব আনে এই দুই দেশ। রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দার পাশাপাশি অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব জানানো হয়।
এদিকে, ভারত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জোরালো ভাষায় নিন্দা জানালেও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি। এক্ষেত্রে মতবিরোধ ও তার নিষ্পত্তির একমাত্র উত্তর সংলাপ এবং কূটনৈতিক পথেই হতে পারে বলে মনে করে নয়াদিল্লি। তবে রাশিয়ার ইউক্রেন হামলা নিয়ে অনুতাপ প্রকাশ করেছে ভারত।
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ছিল ১১টি দেশ। পোল্যান্ড, ইতালি, জার্মানি, এস্টোনিয়া, লাক্সেমবার্গ, নিউজিল্যান্ড-সহ ১১ দেশ ভোটদান করে। প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভেটো দেয় রাশিয়া। স্থায়ী সদস্য রাশিয়ার ভেটোতে প্রস্তাবটি পাশ হয়নি।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেন, ''ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই আগ্রাসন ও শত্রুতা থেকে অবিলম্বে সরে আসতে হবে। আলোচনাই বিরোধ নিষ্পত্তির একমাত্র উত্তর। যদিও এই মুহূর্তে কূটনৈতিক আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়াটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। তবে আমাদের এটিতে ফিরে যেতে হবে। এই সমস্ত কারণেই ভারত এই ভোটদান থকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।''
শুক্রবার রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে আনা আমেরিকা ও আলবেনিয়ার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। তবে রাশিয়া ১৫ সদস্যের শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। পুতিনের দেশ রাস্ট্রসংঘের মঞ্চে তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছে। সেই কারণেই প্রস্তাবটি পাশ হয়নি।
Read full story in English