ভারতের তরফে এই প্রথম একটি দেশের ক্ষমতায় থাকা শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি তালিবানকে। রবিবার ভারত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বীকার করেছে, যে তালিবান আফগানিস্তান জুড়ে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দখল করেছে। একটি দেশের ক্ষমতাসীন শক্তি হিসেবে তালিবানকে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে সরকারিভাবে একটি দেশের সরকার হিসেবে তলিবানকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। যাদের মধ্যে ভারত ছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে নতুন সরকার তৈরির ঘোষণা করে তালিবান। ইতিমধ্যেই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক-সহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এখনও সেই পথে হাঁটেনি। ভারত আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছে। সেদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য দিল্লির কাছে। সূত্র মারফত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, গত সপ্তাহে তালিবান সরকারের ঘোষণার পর থেকে লাগাতার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে দিল্লি। একটানা কয়েকদিন আলোনার পরে শুধুমাত্র একটি দেশের ক্ষমতাসীন শক্তি হিসেবে তালবানকে স্বীকৃতি ভারতের।
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পাশাপাশি ঘোর উদ্বেগে অস্ট্রেলিয়াও। ইতিমধ্যেই ভারতে এসে সেকথা ব্যক্ত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী। রবিবার ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার তরফে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। দুই দেশের তরফেই আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রীরা। আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিকদের বেরোতে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে তালিবানকে, এমনই দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এরই পাশাপাশি যে আফগান নাগরিকরা দেশ ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাইছেন তাঁদেরও সেই সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন- সকাল থেকেই বৃষ্টির দোসর ঝোড়ো হাওয়া, দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি কবে থেকে?
আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় মহিলাদের অধিকার রক্ষার দাবিতে অনেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন। তাঁদের উপর দমন-পীড়নের নীতি নিয়েছে তালিবান যোদ্ধারা। অবিলম্বে তা বন্ধের দাবি জানিয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আফগানিস্তানে নারী ও শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত করতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের দাবি তুলেছে দুই দেশ। যৌথ বিবৃতিতে আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথোপযুক্ত একটি সরকার তৈরিরও দাবি জানানো হয়েছে। তালিবান আফগানিস্তানের দখল হাতে নেওয়ার পর থেকে সে দেশে একাধিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন মাথাচাড়া দিচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন