মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু রবিবার বলেছেন, 'ভারত সরকার মালদ্বীপ থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে'। এর ঠিক কয়েকঘন্টা পর সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে দুবাইতে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলনে সংক্ষিপ্তভাবে এই বিষয়ে আলোচনা হয়। যেখানে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। আলোচনার পর মুইজু সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,"আমাদের আলোচনায়, ভারত সরকার মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্যদের অপসারণ করতে সম্মত হয়েছে,"।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "আমরা উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতেও সম্মত হয়েছি।" দ্বীপরাষ্ট্রটিতে দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি বিমান রয়েছে যা ভারত কর্তৃক মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (এমএনডিএফ) জরুরি চিকিৎসা স্থানান্তর এবং দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য দেওয়া হয়েছে। তা পরিচালনা করার জন্য মালদ্বীপে ৭৭ জন ভারতীয় সামরিক কর্মী রয়েছে।যদিও ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে, শনিবার (১৮ নভেম্বর) মহম্মদ মুইজ্জু তার দেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান। মলদ্বীপে অর্থনৈতিক জোনে নজরদারির জন্য ৭৭ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছেন। নজরদারির জন্য উপস্থিত রয়েছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজও। নজরদারির পাশাপাশি মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিতে উদ্ধারকাজে উড়ান পরিচালন ও মাদক পাচার রোখার কাজও করে মলদ্বীপে মোতায়েন রয়েছেন ভারতীয় সেনারা। মুইজুর এই মন্তব্যের পর নয়া দিল্লির তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে এই বিষয়ে আপাতত আলোচনা চলছে। কোনও কিছু নির্দিষ্টভাবে স্থির হয়নি।
শপথ গ্রহণের পরপরই, সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি কার্যালয় ঘোষণা করেছে যে তার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে দেশ থেকে তার সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহার করতে বলেছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে দুই সরকারের মধ্যে এই বিষয়ে কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে দেখা করার সময় মুইজ্জু আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুরোধ করেছিলেন। মালদ্বীপে ভারতের প্রায় ৭৭ জন সেনা রয়েছেন।