Advertisment

মানচিত্র বিতর্কের আবহেই দিল্লি-কাঠমান্ডু বৈঠক আগামী সপ্তাহে

দীর্ঘ ৯ মাস বাদে ফের ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলছেন নেপাল প্রশাসনের কর্তারা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কেপি শর্মা ওলি এবং নরেন্দ্র মোদী।

কালাপানি সীমান্ত বিতর্কের মধ্যেই দীর্ঘ ৯ মাস বাদে ফের ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলছেন নেপাল প্রশাসনের কর্তারা। তারিখ চূড়ান্ত না হলেও আগামী সপ্তাহে আগামী ১৮ আগস্ট ওই বৈঠক হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। নেপালের যে সব পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ভারত সরকার মূলধন বিনিয়োগ করেছে মূলত সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে পর্যালোচনার জন্যই বৈঠক হবে।

Advertisment

বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন কাঠমাণ্ডুতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কাবাত্রা সহ অন্য আধিকারিকরা এবং আর নেপালের তরফে প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রকের সচিব শাঙ্কর দাস বৈরাগী। কাঠমান্ডুতে হবে এই বৈঠক। মূলত সেদেশে ভারত সরকারের বিনিয়োগকারী প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা হলেও মনে করা হচ্ছে যে বৈঠকে দুদেশের সম্পর্কের মধ্যে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে তার সমাধান খোঁজার চেষ্টা হতে পারে।

ভূমিকম্পের পর বিধ্বস্ত নেপাল। মূলত তরাই অঞ্চলে রেল পথ পাতা থেকে, তেলের পাইপ বসানো, পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপণ, পলিটেকনিক কলেজ তৈরি সহ পরিকাঠামো উন্নয়নের একাধিক ক্ষেত্রে ভারত সরকার বিনিয়োগ করেছে। সেই কাজ কতদূর এগলো তা বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে। নেপালের উন্নয়নের জন্য গত বছর বাজেট ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদী সরকার। করোনার জন্য ভিডিও কমফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই বৈঠক হবে।

কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরা- ভারতীয় এই তিন ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল। শুধু তাই নয়, রাতারাতি দেশের মানচিত্রে এই তিন ভারতীয় অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত পর্যন্ত করা হয়েছে। নেপালের জাতীয় সংসদে ইতিমধ্যেই নয়া মানচিত্র স্বীকৃতি পেয়েছে। কেপি শর্মা ওলি সরকারের এই পদক্ষেপে ভারত-নেপাল সম্পর্ক ক্রমশ তালানীতে। প্রথম থেকেই নেপালের দাবিকে 'অযোক্তিক' বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এছাড়া নেপাল সরাকরের চিনমুখীতাও দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ককে শীতল করছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে যে, প্রয়োজনীয় হলেও করোনা আবহে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে কোনও আলোচনা আগামী সপ্তাহের বৈঠকে হবে না। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, কোভিড মোকাবিলা সাফল্যের সঙ্গে শেষ করার পরই দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনা হবে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ভারত সরকারের বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জেনেছে যে, 'আলোচনার জন্য প্রকৃত পরিবেশ চাই ও তার দায় বর্তায় ওলি সরকারের উপরই। তা যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ আলোচনা নয়।'

জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিনত করার পর গত নভেম্বরে ভারত নয়া মানচিত্র প্রকাশ করেছিল। তারপর থেকেই ভারত-নেপাল সীমান্ত বিরোধের শুরু। সীমান্ত নিয়ে আলোচনার জন্য যে প্রস্তাব দেয় তার নির্ধারিত সূচি ছিল মার্চে। কিন্তু করোনা আবহে স্থগিত হয়ে যায়। কাঠমান্ডু ভিডিও বৈঠকের কথা জানালেও ভারত করোনা আবহে তাতে রাজি হয়নি বলে দাবি করে নেপাল সরকার।

উত্তেজনার আবহেও দুই দেশের প্রশাসনিকস্তরে আলোচনাকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে, এই আলোচনা রুটিন বৈঠক, খুব বেশি কিছু ফলাফলের সম্ভাবনা নেই বলেই সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Nepal India
Advertisment