চুক্তি লংঘন করে ভারতই চিনা ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে। বেজিংয়ের এই দাবি ওড়াল নয়াদিল্লি। গালওয়ান নিয়ে চিনের দাবিকে 'উস্কানিমূলক' বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের জেরে গত বছর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছায়। এরপর থেকে সীমান্তে উত্তেজনা লেগেই রয়েছে। চলছে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপ। এই পরিস্থিতিতে চিনের ভূখণ্ডে 'অবৈধ অনুপ্রবেশ' করেছে বলে ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে চিন। ভারত চিনের সেই দাবি আরও একবার সমূলে উৎখাত করল।
বেজিংয়ের দাবি প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রণকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, 'চিনের দাবি, একতরফা ও উস্কানিমূলক, যা তা আমাদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লংঘন করেছে। ফলে স্থিতাবস্থা ও শান্তির পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে। প্রভাব ফেলতে পারে এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উপরও।'
অরিন্দম বাগচির সংযোজন, 'এটি আমাদের প্রত্যাশা যে, চিন পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করবে এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও প্রোটোকলগুলি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলবে। তার বদলে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে শান্তি বিঘ্নিত করবেন না'
শুক্রবার কোয়াজ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় চিনা পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান গত বছর গালওয়ান উপত্যকায় সংঘটিত সংঘর্ষের জন্য ভারতীয় সেনা বাহিনীকে দায়ী করেন। ভারতের সেনাবাহিনীর নতুন সীমান্তে প্রটোকল মেনে চলা প্রসঙ্গে চিনের মতামত সম্পর্কে জানতে চাইলে মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, 'একটি চক্র অন্য দেশের উন্নতি বিঘ্নিত করতে চেষ্ঠা চালাচ্ছে, তবে আঞ্চলিক সমর্থন তারা পাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে বলব, সঠিক আলোকে চিনের উন্নয়নকে দেখুন ও পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নে সাহায্য করুন।'
যদিও চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটের পোস্ট করা মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ঝাও লিজিয়ানের মন্তব্য অন্যরকম করে লেখা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করার জন্য ভারতই দায়ী। ঝাও লিজিয়ানকে উদ্ধৃত করে সেখানে লেখা হয়েছে, 'গত বছর গালওয়ান উপত্যকার ঘটনাটি ভারতের অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে ঘটেছিল। যা পূর্ব স্বাক্ষরিত চুক্তি লংঘন।আমরা আশা করি, ভারত দু'দেশের স্বাক্ষরিত চুক্তি কঠোরভাবে মেনে চলবে এবং চিন-ভারত সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কড়া পদক্ষেপ করবে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন