করোনা অতিমারী মোকাবিলায় বিশ্বের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ভারত। টিকাকরণের দিক থেকেও ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে অভিমত আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, কোভিডের টিকার উৎপাদন এবং বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ডা. হনসা মেহেতার একটি আলোচনা সভায় এমনই কথা বলেন গোপীনাথ।
গোপীনাথ এদিন বলেন, ঠএটা বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে, ভারত টিকাকরণ নিয়ে প্রশংসনীয় কাজ করেছে। যদি আপনারা দেখেন, ভ্যাকসিনের উৎপাদন হাব রয়েছে তো সেটা ভারতেই।ঠ গোপীনাথ সেরাম ইনস্টিটিউটেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, সেরাম সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদ করেছে। রাষ্ট্রসংঘের কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে।
করোনা অতিমারী মোকাবিলাতে ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বলে দাবি গোপীনাথের। পড়শি দেশগুলি যেমন বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমারকে বাণিজ্যিক ভাবে টিকার ডোজ সরবরাহ করে বিশ্বের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যেও টিকা সরবরাহ করে ভারত বিশ্বের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোপীনাথ।
তবে তিনি এটাও বলেছেন, অতিমারী আবহে ভারতের অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। গড়ে প্রত্যেক বছর যে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ থাকে, সেখানে গত বছর ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে জিডিপি। তবে সেই মন্দা থেকে ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি করেন গোপীনাথ।