কাশ্মীর ইস্যুতে লন্ডনে ভারতের হাই কমিশনে হামলার ঘটনার কড়া নিন্দা করল নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে মঙ্গলবারের ঘটনাকে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে, "এক মাসের মধ্যেই দু'বার এই ধরনের ঘটনা ঘটল। যা নিরাপত্তা ও কাজের ক্ষতি করছে। আমরা এই ধরনের ঘটনার নিন্দা করে ব্রিটেনের সরকারের কাছে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দাবি করছি কমিশন ও সেখানে কর্মরতদের নিরাপত্তার।"
লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশন ভবনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার। গত মাসে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা এই ভাঙচুর চালান বলে খবর। হামলায় ভারতীয় হাই কমিশন ভবনের একটি জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে। কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কোয়ারে বিক্ষোভ চলছিল। সেখান থেকেই একটি মিছিল ভারতীয হাই কমিশনের দিকে চলে আসে। স্লোগান দিতে থাকে 'আজাদি' ও 'কাশ্মীরে গোলাগুলি বন্ধ করুন'। এরপরই চলে পাথর ছোড়া। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ৩ দিনেই বৌবাজার যেন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ
এই প্রথম নয়। গত মাসেই হামলা চালানো হয়েছিল লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে। মঙ্গলবারের হামলার কথা দূতাবাসের তরফেই ট্যুইটে জানানো হয়। লেখা হয়, "৩ সেপ্টেম্বর আরও একবার হামলা চলল লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাস প্রাঙ্গণে।" ট্যুইটারে জানালার ভাঙা কাচের ছবিও দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিক্ষোভকারীরা লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন।
এই ভাঙুরের ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। ভারতীয় দূতাবাসের ট্যুইটের প্রেক্ষিতে রিট্যুইট করেন তিনি। জানান, "এই বিষয়টি কখনও গ্রহণোগ্য নয়।" মেট্রোপলিটান পুলিশকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৫ অগাস্ট দেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য লন্ডনে দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন ভারতীয়রা। সেই সময়ই কাশ্মীর ইস্যুতেই একদল বিক্ষোভকারী ভারতীয়দের উপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। দূতাবাস ও তার সামনে জড়ো হওয়া মানুষদের উদ্দেশ্য করে পাথর এবং ডিম ছোড়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘মায়ের অনুমতিতেই’ গণেশ পুজোর মণ্ডপে বসে মদ্যপান, গ্রেফতার আট
মঙ্গলবার, হাউস অফ কমন্সে প্রথম সংসদীয় অধিবেশন চলাকালীন ভারতীয় বংশোদ্ভূত টোরি এমপি শৈলেশ ভারা বিক্ষোভের বিষয়টি উত্থাপন করেন। অন্য গোষ্ঠীর হাতে ভারতীয়দের উপর হামলার বিষয়ে সোচ্চার হন তিনি। জবাবে তাঁকে জানানো হয়, এই দেশ হোক বা অন্য যে কোনও দেশ, কোনও গোষ্ঠীর উপর আক্রমণই নিন্দাযোগ্য। উত্তেজনা হ্রাস করতে কথোপকথনের উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়।
১৫ অগাস্টের হামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানানো হয়েছে।