''মধ্য এশিয়ার বাকি দেশগুলির মতো আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে একই উদ্বেগ রয়েছে ভারতেরও'', রবিবার এমনই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আফগান মুলুকে সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে বলে জানালেন বিদেশমন্ত্রী। মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লিতে এদিন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় বিদেশমন্ত্রী এদিন আরও জানান, আফগানিস্তানের মানবিক অধিকারকে নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য। সেদেশে নারী, শিশু এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত করাই বাকি দেশগুলির কর্তব্য বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রবিবার দিল্লিতে ভারত-মধ্য এশিয়া ডায়লগ শীর্ষক কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিন কাজাখস্তান, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীদের সামনে ভাষণ দেন জয়শঙ্কর। তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তানের সীমান্তবর্তী দেশ আফগানিস্তান। এদিন সংক্ষিপ্ত ভাষণে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগাগোড়া আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে ভরতের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন।
তিনি এদিন বলেন, “আমাদের সবার আফগানিস্তানের সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। সেই দেশ নিয়ে আমাদের সবার উদ্বেগ এবং উদ্দেশ্যগুলি একই রকম। সেদেশে একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার চাই। সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা এবং নারী, শিশু এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার সংরক্ষণই লক্ষ্য। আফগানিস্তানের জনগণকে সাহায্য করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।”
আরও পড়ুন- স্বর্ণমন্দির কাণ্ডে নিহত যুবকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা পুলিশের
শনিবার তাজিকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন মুহরিদ্দীনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জয়শঙ্কর। তাঁকেও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “আফগানিস্তানের প্রতিবেশী হিসেবে আমরা সেখানকার উন্নয়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন।''
আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান থেকে ভারতীয় ও সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে সরিয়ে আনা নিয়ে চূড়ান্ত উদ্বেগে ছিল দিল্লি। সেই সময় তাঁদের আফগান মুলুক থেকে উদ্ধার করে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল তাজিকিস্তান। পড়শি দেশের সেই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন