নিয়ন্ত্রণরেখায় প্যাংগং ও পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭-ও থেকে 'দ্রুত ও সম্পূর্ণ' সেনা প্রত্যাহারে রাজি চিন। শুক্রবার দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা হয়। তারপরই নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, 'নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে উভয় দেশই দ্রুত ও সম্পূর্ণ সেনা সরাতে সহমত হয়েছে।'
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শদাতা ও সমন্বয়কারী কমিটির বৈঠক হয়। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদেশমন্ত্রকের (পূর্ব এশিয়া বিষয়ক) যুগ্ম সচিব নবীন শ্রীবাস্তব। চিনের হয়ে বৈঠকে যোগ দেন সেদেশের বিদেশ দফতরের (সীমান্ত ও সমুদ্র বিষয়ক) ডায়েরেক্টর জেনারেল হং লিয়াং। বেজিংয়ের তরফে বলা হয়েছে, 'নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানোর ক্ষেত্রে দুই দেশই আগ্রগতিকে নিশ্চিত করেছে। আরও আগ্রগতির জন্য উভয় দেশের মধ্যে সেনা ও কূটনীতিকস্তরে আলোচনা জারি রাখা প্রয়োজন।'
বৃহস্পতিবারই বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল প্যাংগং ও পিপি-১৭ এ থেকে লাল ফৌজ না সরলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক দিকে মোড় নেবে। তাই ভারত-চিনের সেনা পর্যায়ের আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। শুক্রবারের উভয় দেশের কূটনীতিক পর্যায়ের আলোচনা আগামী দিনে সেনা কমান্ডার পর্যায়ের আলোচনার পথ প্রশস্থ করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারত-চিন কূটনৈতিকস্তরে বৈঠক শেষে বিদেশমন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, 'নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি ও সেনা সরানোর বিষয় নিয়ে দুই দেশই পর্যালোচনা করেছে। তারা দ্রুত-সম্পূর্ণ সেনা সরানোর ক্ষেত্রে সহমত হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে উভয় দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আগ্রগতির স্বার্থে নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখার পক্ষপাতী।'
'গত ৫ জুলাই দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের টেলিফোনে কথা হয়। তার ভিত্তিতেই সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য আরও বেশি করে ভারত-চিন সেনা পর্যায়ে আলোচনা চালাতে সম্মতি প্রকাশ করেছে দুই দেশ। প্যাংগং ও পিপি ১৭-ও থেকে সেনা সরানো নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি দুই দেশের সেনা পর্যায়ের আলোচনা হবে। ভারত সীমান্তে শান্তি ও মে মাসের আগের স্থিতাবস্থার পক্ষে।' সাউথ ব্লকের বিবৃতি এ কথা বলা হয়।
উল্লেখ্য, গালওয়ান ও হট স্প্রিংয়ের পিপি ১৫ থেকে লাল ফৌজ কিছুটা পিছনে সরলেও প্যাংগং ও পিপি ১৭-এ তে এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে তারা। ফিঙ্গার ৮-এও জারি রয়েছে চিনা বাহিনীর আগ্রাসন। সেখানে ভারতীয় সেনাকে নজরদারিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। চিনা সেনার এই অনড় মনোভাবেই কারণেই ভারত মনে করছে সমস্য়া এখনই মেটার নয়। তাই নিয়ন্ত্রণরেখা সুরক্ষিত করতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের কথা ভেবেছে দিল্লি। শীতেও নিয়ন্ত্রণরেখায় অধিক উচ্চতায় সেনা মোতায়েন রাখার পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় সেনা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন