পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দ্রুত ও সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের লক্ষে ফের বৈঠকে সহমত ভারত-চিন সেনাবাহিনী। এমনটাই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, পারস্পরিক আবস্থান বোঝান ক্ষেত্রে কূটনৈতিক ও সেনা বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গত সপ্তাহেই ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয় (ডাব্লুএমসিসি) ওয়ার্কিং মেকানিজম এর কাঠামোর অধীনে এই দুই দেশ এক দফা কূটনৈতিক আলোচনার আয়োজন করেছিল। ভার্চুয়াল সেই বৈঠকে প্রতিবেশী উভয় রাষ্ট্রই পূর্ব লাদাখের বিরোধ স্থানগুলো থেকে যত দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আলোচনা জারি রাখার পক্ষে সওয়াল করে।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, 'কূটনৈতিক ও সেনা বৈঠকের মাধ্যমে ভারত-চিন আলোচনা জারি রেখেছে। নিয়ন্ত্ররেখা সংক্রান্ত বিষয় দুই দেশের অবস্থান বুঝতে এই ধরণের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।' গত প্রায় সাত মাস ধরে ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা রয়েছে। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দুই দেশের সেনা। প্রবল শৈত্যেও একই পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেছেন শ্রীবাস্তব।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রে দাবি, 'ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয় (ডাব্লুএমসিসি) ওয়ার্কিং মেকানিজম বৈঠক গত ১৮ ডিসেম্বর হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহেরর লক্ষ্যে দুই দেশই দ্রুত নবম সেনা বৈঠকের পক্ষে সহমত পোষণ করেছে। প্রোটোকল মেনে স্থিতাবস্থা ও শান্তি ফেরাতে চায় দুই দেশই।'
গত ৬ নভেম্বর অষ্টমবারের জন্য ভারত-চিন সেনা বৈঠক হয়েছিল। সেখানেও সেনা প্রত্যাহ সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা হয়।
এবার দুই দেশের মধ্যে ৭০তম কূটনীতিক সম্পর্কের ৭০তম বর্ষপূর্তি। গালওয়ান সংঘর্ষ ও চিনা আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে ভারত কী নয়াদিল্লির সঙ্গে সব ধরণের উদযাপন অনুষ্ঠান বাতিল করবে? জবাবে অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, কর্মসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন