সীমান্ত জট কাটাতে ভারত-চিন সেনা পর্যায়ের পঞ্চম বৈঠকও ম্যারাথন সময় ধরে হল। কিন্তু, প্যাংগং বা পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭-এ থেকে লাল-ফৌজ কি সরবে? এ প্রসঙ্গে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চিনের মলডোতে ভারত-চিন সেনা কমান্ডারস্তরে আলোচনা চলে। ভারতের হয়ে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ১৪ কপের কমান্ডার জেনারেল হরদীপ সিং পুরী। চিনের হয়ে বৈঠকে অংশ নেয় জিনজিয়াং প্রদেশের জেনারেল লিউ লিন। জানা গিয়েছে, আলোচনায় প্যাংগং ও গোগরা সহ নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহারে জোর দেয় ভারত।
গালওয়ানে দু'দেশের সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২০ ভারতীয় সেনার। পরিস্থিতি ক্রমশ যুদ্ধের আবহ তৈরি করে। এরপর ভারত-চিন সেনা পর্যায়ের আলোচনা হলেও সীমান্ত জট কাটেনি। পরে, দু'দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের ফোনালাপের পর ৩০ জুন থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উভয় দেশের সেনাই ক্রমে সরে যায়। গালওয়ান ও পিপি ১৫ লাল-ফৌজ মুক্ত হয়।
দু'দেশই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মেনে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহারে সম্মতি প্রকাশ করে। এরই মাঝে গত ১৪ জুলাই ভারত-চিন সেনার চতুর্থস্তরের বৈঠক হয়। চলে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের আলোচনাও। কিন্তু, নয়াদিল্লির অভিযোগ, চতুর্থ রাউন্ডের বৈঠকের পর থেকেই সেনাপ্রত্যাহার প্রক্রিয়ায় কোনও আগ্রগতি হয়নি।
ভারত চিন বিরোধ নিয়ন্ত্রণরেখায় চার জায়গায়। এগুলি হল, গালওয়ানের পিপি-১৪, হট স্প্রিংয়ের পিপি-১৫, গোগরা পোস্টের পিপি ১৭-এ ও প্যাংগংয়ের পিপি-৪। সূত্র জানাচ্ছে, ৩০ জুন উভয় দেশের সেনা পর্যায়ের তৃতীয় পর্যায়ের বৈঠকের পর চারটির মধ্যে দুটি জায়গা গালওয়ান ও হট স্প্রিং থেকে ভারত-চিন সেনা সরেছে। কিন্তু, এখনও পিপি ১৭-এ এবং প্যাংগং থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। 'বটল নেক' অঞ্চলে ভারতীয় সেনাকে নজরদারিতে বাধা দিচ্ছে লাল-ফৌজ। দীর্ঘ জটিলতার কথা বিবেচনা করে নিয়ন্ত্রণরেখায় অধিক উচ্চতায় শীতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে ভারতীয় সেনা।
এই পরিস্থিতিতে নজরে ভারত-চিন সেনার পঞ্চম পর্যায়ের আলোচনার ফলাফল।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন