ভারতীয় সেনার নজরে প্যাংগং ও পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭-এ। নিয়ন্ত্রণরেখার এই দুই জায়গা থেকে এখনও লালফৌজ সরেনি। এই পরিস্থিতিতে রবিবার ফের দু’দেশের সেনা পর্যায়ে আলোচনা চলছে। সকাল ১১টা থেকে সেনা কমান্ডস্তরে চিনের মল্ডোতে বৈঠক শুরু হয়েছে। এই নিয়ে পাঁচবার সেনাস্তরে দু’দেশ বৈঠকে বসল।
ভারত ও চিন দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরের আলোচনায় ঠিক হয়েছিল পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা সরিয়ে নেবে উভয় দেশে। সেইমতো সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত দু'সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চিন এখনও পুরোপুরি সেনা সরায়নি বলে অভিযোগ দিল্লির।
দু'দেশের সেনা পর্যায়ের পঞ্চম বৈঠকে নিয়ন্ত্রণরেখার যেসব পয়েন্ট থেকে এখনও পুরোপুরি চিনা সেনা সরেনি তা সম্পন্ন করতেই জোর দেওয়া হবে। পাশাপাশি সমারাস্ত্র সরিয়ে নিয়ে যেতেও বলা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে বলতে পারে ভারতীয় সেনা।
গত ৬ জুলাই থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুই দেশের সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হয়েছে। গালওয়ান ও পিপি ১৫ থেকে দুই দেশই সেনা সরিয়েছে। ভারত-চিন বিশেষ প্রতিনিধি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই টেলিফোনে কথা বলার পরই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ভারত চিন বিরোধ নিয়ন্ত্রণরেখায় চার জায়গায়। এগুলি হল, গালওয়ানের পিপি-১৪, হট স্প্রিংয়ের পিপি-১৫, গোগরা পোস্টের পিপি ১৭-এ ও প্যাংগংয়ের পিপি-৪। সূত্র জানাচ্ছে, ৩০ জুন উভয় দেশের সেনা পর্যায়ের তৃতীয় পর্যায়ের বৈঠকের পর চারটির মধ্যে দুটি জায়গা গালওয়ান ও হট স্প্রিং থেকে ভারত-চিন সেনা সরেছে। কিন্তু, এখনও পিপি ১৭-এ এবং প্যাংগং থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। পিপি-এ অঞ্চলের এক কিমির মধ্যেই উভয় দেশের ৫০ ট্রুপ সেনা মোতায়ের রয়েছে।
নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি বিচারে গত ২৪ জুলাই দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠক হয়। এরপরই বিদেশমন্ত্রক জানায়, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে ভারত আশা করে চিন শীঘ্রই সীমান্ত অঞ্চলে সম্পূর্ণ ভাবে সেনা নিষ্ক্রিয় করবে এবং সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তরিক ভাবে ভারতের সঙ্গে কাজ করবে
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন