গালওয়ান থেকে ভারত-চিনের সেনা পিছনোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আপাতত পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ থেকে দুই দেশের সেনাই কিছুটা পিছিয়েছে। একই প্রক্রিয়া হট স্প্রিং এরিয়াতেও পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৫ ও ১৭-এ তে হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হৃদের উত্তরে ও দেপসাংয়ে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
সরকারি সূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে যে, 'রবিবার রাত থেকেই গালওয়ানে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রতিরক্ষা জন্য যে নির্মাণ লাল ফৌজ করেছিল তা সরানো হয়েছে। আপাতত পুরো এলাকা সাফ করা হয়েছে। তাদের সেনা সরাতে বেশ কয়েকটি গাড়ি ওই এলাকায় আনা হয়েছে। এরপরই দু'তরফে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে।'
পুরো প্রক্রিয়াটি এখনও জারি রয়েছে এবং দু'তরফেই সেনা কতটা করে সরেছে তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে সিত্র মারফত জানা গিয়েছে। ভারত-চিনসেনা পর্যায়ের বৈঠকে পিপি-১৪ থেকে সেনা সরানোয় সম্মতি জানায় দুই দেশ। তবে সবদিক যাচাই করেই বলা সম্ভব এই খবর কতটা নিশ্চিৎ।
গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ তে জোর করে লাল ফৌজ ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে বলে অভিযোগ ভারতীয় সেনার। তারা বেশ কিছু নির্মাণও গড়ে তোলে। যা ভারতী সেনারা ভাঙতে দুই দেশের সেনা সংঘর্ষ হয়। ১৫ জুন গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ -র কাছেই চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকেই পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪তে ঘাঁটি গাড়ে চিনা বাহিনী।
এই সেনা প্রত্যাহার কতটা দীর্ঘেমেয়াদী, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই সেনা প্রত্যাহার কতটা দীর্ঘেমেয়াদী, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, 'সেনা সরানোর কাজ বাস্তবে কতটা হল তা খতিয়ে দেখতে ভারতীয় সেনার একটি দল নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু পয়েন্ট যাবে। আগামিকালই সম্পূর্ণ রিপোর্ট মিলবে। তবে, গালওয়ানে চিনের তরফে সান সরানো ও নির্মাণ ধ্বংসের কয়েকটি প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।' আধিকারিকের কথায় ,'গত তিন ধরেই সেনা প্রত্য়াহার প্রক্রিয়াটি নজরে পড়েছে। এদিকে আবার প্রকৃতি বিরূপ, গালওয়ান নদীর জল বাড়ছে। তাই জন্যও এই প্রক্রিয়া কিছুটা দেরি হতে পারে।'
উল্লেখ্য, গলওয়ান সংঘর্ষের পরে গত সপ্তাহে ভারত ও চিন সেনা কমান্ডাররা তৃতীয় দফার বৈঠক করেন। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তেজনা প্রশমণে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই গলওয়ান থেকে সেনা প্রত্যাহারে দুই দেশই সম্মত হয় বলে জানা যায়।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন