চিনা অ্য়াপ নিষিদ্ধ করায় ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলল বেজিং। ভারতে চিনা অ্য়াপ নিষিদ্ধ করা নিয়ে নয়া দিল্লির সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ''আমরা আশা করি দু'দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য় সহযোগিতায় পারস্পরিক লাভবানের দিকটি বিবেচনা করবে ভারত। অনুরোধ জানাব, যাতে ভারত এ ধরনের বৈষম্য়মূলক আচরণ বদলে দু'দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য় সহযোগিতায় গতি বজায় রাখে''।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় কর্মীদের কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়বে। যাঁরা অ্য়াপগুলো ব্য়বহার করতেন তাঁদের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে। কোনও বৈষম্য় না রেখে সমস্ত বিনিয়োগকারী ও সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে সমান আচরণ করুন। উভয়পক্ষের মৌলিক স্বার্থ ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের খাতিরে ন্য়ায়সঙ্গতভাবে বাণিজ্য়ের পরিবেশ তৈরি করুন।
আরও পড়ুন: ভার্চুয়াল স্ট্রাইক: টিকটক-ইউসি ব্রাউজার-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ভারতে
উল্লেখ্য়, টিকটক, শেয়ারইট, ইউসি ব্রাউজার, লাইকি, ইউচ্যাট, বিগো লাইভ-সহ মোট ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে, ওই অ্যাপগুলি ‘দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, দেশের সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকারক। সেকারণেই ওই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারায় অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ১৩০ কোটি ভারতবাসীর তথ্য সুরক্ষিত রাখার প্রশ্নে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে মোবাইল অ্যাপকে অপব্যবহার করে গ্রাহকদের তথ্য চুরি করা হচ্ছে বলে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকে। এরপরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন