যুদ্ধ নয়, বরং কথাবার্তা-বৈঠকের মাধ্যমেই ভারত-চিন সীমান্তের সমাধানসূত্র বের করতে চান, সংবাদসংস্থা এএনআইকে শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে। লাদাখে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সম্প্রতি যে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে গত সপ্তাহেই তিন ঘন্টার একটি বৈঠক হয় দুই দেশের সেনা কমান্ডারদের মধ্যে।
এখন সীমান্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এমনটাই জানান সেনাপ্রধান নারাভানে। তিনি বলেন, "আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে চিনের সঙ্গে আমাদের সীমান্তে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা একাধিক আলোচনা শুরু করেছি। লোকাল কমান্ডারদের সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠকও হয়েছে। তবে হ্যাঁ অনেক বৈসাদৃশ্য রয়েছে মত-এ। তবে আমরা আশাবাদী যে কথোপকথনের মাধ্যমে ভারত ও চিন তাঁদের এই পার্থক্যগুলি মিটিয়ে নিতে সক্ষম। এখন সবটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।"
এদিকেকূটনৈতিক ও সেনা পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেই খবর। ইতিমধ্যেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা সরিয়েছে চিন। এরপর সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়েছে ভারতও। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, প্যাংগং হ্রদের পরিস্থিতি এখনও বদলায়নি। বরং সেখানে পাথরের বাঙ্কার তৈরি করতে শুরু করেছে চিনা সেনা। যা ভারতের মাথা ব্যাথার অন্যতম কারণ বলেও মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, ভারতের মাথা ব্যথা প্যাংগং, আলোচনা এগোলেও পরিস্থিতি বদলায়নি
ভারতীয় সেনা সূত্রে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে, প্রকত নিয়ন্ত্রণরেখায় অন্যান্য অঞ্চলে নিয়ে ভারতে যুক্তি চিন মেনে নিয়েছে। তবে, প্যাংগন নিয়ে এখনও তাদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ৬ই জুন উভয় দেশের সেনা কমান্ডার পর্যায়ের যে আলোচনা হয়েছিল সেখানেও প্যাংগংকে কেন্দ্র করেই মতপার্থক্য দেখা গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত অঞ্চলে চিনা সেনাদের উপস্থিতি নজরে আসে। গত ২৭ মে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে সেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই অঞ্চলে আগে দু’দেশের সেনা নজরদারি চালালেও বর্তমানে ভারতীয় সেনাকে নজরদারিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ফলে ওই অঞ্চলে ভারতীয় সেনাদের নজরদারি থমকে রয়েছে। যদিও বর্তমানে এর সমাধান চায় দিল্লি।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন