নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রথম পর্যায়ের সেনা সরানোর কাজ সম্পন্ন। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বাকি অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে আজ ফের ভারত-চিন সেনা কমান্ডারস্তরে বৈঠক হবে। পূর্ব লাদাখের চুশুল মলডোতে গত মে মাস থেকে এটি চতুর্থ পর্যায়ের বৈঠক। ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন সেনার ১৪ কোরের কমান্ডার লেফটেনান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিং ও চিনের তরফে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ জিংজিয়াং মিলিটারি প্রদেশের কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন।
গালওয়ানের নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে লাল ফৌজ ও ভারতীয় সেনা কয়েক কিমি পিছিয়ে গিয়েছে। কমেছে উত্তেজনা। তবে দেপসাং এলাকা-প্যাংগং থেকে চিনা সেনা এখনও সরেনি। ফলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দুই দেশের বাহিনী। জানা গিয়েছে আজ বৈঠকে, দেপসাং এলাকা ও প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার-৮ থেকে চিনা সেনার প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনাতেই বিশেষ জোর দেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এছাড়াও গালওয়ান উপত্যকায় বিভিন্ন পেট্রোলিং পয়েন্টকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বাফার এলাকায় নজরদারির প্রোটোকল তৈরি নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
দুই দেশের বিরোধ রয়েছে এমন এলাকায় সেনা যাতে আরও সরে যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া এখন যে সংখ্যা সেনা মোতায়েন রয়েছে সেই সংখ্যা কমানোর কথা বলা হতে পারে।
ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, 'দেপসাং সমতলে ভারতীয় সেনাকে নজরদারিতে বাধা দিচ্ছে লাল ফৌজ। এই এলাকা কারাকোরাম পাসের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডিতে স্থিত কৌশলগত আইটপোস্টের খুব কাছে। তাই এই অঞ্চল থেকে সেনা সরানোর জন্য চিনকে চাপ দেওয়া হবে।' এছাড়া বিরোধ রয়েছে এমন সব জায়গায় সীমান্তে সমরাস্ত্র, এয়ার ডিফেন্স ব়্যাডার, জ্যামার, রকেট সহ সেনা সরঞ্জাব সরানোর বিষয়েও কথা বলা হবে।
নিয়ন্ত্রণরেখায় এই অঞ্চলে চিনা সেনার নির্মাণ ধরা পড়েছিল। এর মোকাবিলায় ভারতও বাড়তি সেনা এবং আকাশ-জল পথে সমস্ত ধরনের সরঞ্জাম মজুত করেছে। দুই দেশের সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হলে এগুলি সরিয়ে আনা হবে।
এর আগের ভারত-চিন সেনা বৈঠকটি হয়েছিল ৩০ জুন। সেই বৈঠকের ফল যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই মনে করছে সাউথ ব্লক। এই ভৈঠকের পরই গালওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪, হট স্প্রিং ও গোগরা থেকে পিছু হটে চিন সেনা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন