Advertisment

অধরাই ভারত-চিন সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের সমাধানসূত্র

মে মাসের শুরু থেকে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকায় ভারত-চিন সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মে মাসের শুরু থেকে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকায় ভারত-চিন সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চিনা সেনা। পরিস্থিতি বদলে বৃহস্পতিবারদুই দেশের কূটনীতিকস্তরের চতুর্থ পর্যায়ের আলোচনা হয়। কিন্তু এই বৈঠক থেকে লাদাখ সমস্যার সমাধানসূত্র মেলেনি। নয়াদিল্লি জানিয়েছে যে, 'সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে দু'তরফই আন্তরিকভাবে নিরবিচ্ছিন্ন প্রয়াস চালিয়ে যাবে।'

Advertisment

মে মাসের শুরু থেকে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকায় ভারত-চিন সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সীমান্তে একেবারে চোখে চোখ রেখে অবস্থান করে দু’দেশের সেনা। গত ১৫ জুন দু’দেশের সেনার মধ্য়ে সংঘর্ষও বাধে। মৃত্যু হয় ২০ ভারতীয় সেনাকর্মীর। এরপর সীমান্ত সমস্যা মেটাতে দু’দেশের সেনা ও কূটনীতিক পর্যায়ে একাধিকবার বৈঠক হয়। কিন্তু, প্যাংগনের ফিঙ্গার-৪ এলাকা ও গোগরা হট স্প্রিং থেকে সেনা প্রত্যাহার না করার ক্ষেত্রে অনড় লাল-ফৌজ।

বৃহস্পতিবার ভারতের তরফে বিবৃতিতে 'আগ্রগতি' এবং 'নিষ্ক্রিয়করণ প্রক্রিয়া'র কথা উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া, 'দ্রুত ও সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের' ব্য়াপারেও কিছু বলা হয়নি। যা গত তিনটি ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয় বৈঠক পরবর্তী বিবৃতির থেকে সম্পূর্ণ পৃথক।

এই বৈঠক শেষে বেজিং জানিয়েছে যে, দুই দেশের সেনা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে সদর্থক পর্যোলেচনা হয়েছে ও আন্তরিকতার সঙ্গে তা বাস্তবায়ণে দুই দেশই সহমত হয়েছে।

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, 'ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে স্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে দুই দেশই তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছে। তারা নিশ্চিত করেছে যে, দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী ও বিশেষ প্রতিনিধির চুক্তির ভিত্তিতে আন্তরিকভাবে উভয় রাষ্ট্রই সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করবে। এ ক্ষেত্রে তারা বিবদমান সমস্যাগুলো দ্রুত বিদ্যমান চুক্তি এবং প্রোটোকল অনুসারে সমাধান করতে সম্মত হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে দুই দেশই সীমান্তে শান্তি পুররুদ্ধার ও স্থিতাবস্থায় রাজি।' সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে ভারত-চিন সেনা ও কূটনীতিক পর্যায়ে নিরবিচ্ছিন্ন আলোচনা চালাবার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান শ্রীবাস্তব।

ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয় বৈঠকে এ দেশের হয়ে নেতৃত্ব দেন বিদেশমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (পূর্ব এশিয়া) নবীন শ্রীবাস্তব। বেজিংয়ের হয়ে কথা বলেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের সীমান্ত ও সমুদ্র বিষয়ক দফতরের ডিরেক্টার জেনারেল হং লিয়াং।

ভারতের চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, 'সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দুই দেশের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সীমান্তের বাস্তব অবস্থা সহ এ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে স্পষ্ট ও বিস্তারিত মতামত বিনিময় হয়েছে।'

উল্লেখ্য, সীমান্তের অচলাবস্থা কাটাতে গত সপ্তাহে চিনে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

india china standoff
Advertisment