Advertisment

সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পর দ্বিতীয় দফা ভারত-চিন কর্পস কম্যান্ডার বৈঠক

 প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল পঞ্চদশ কর্পস কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং ও চিনের দক্ষিণ শিনজিয়াং সামরিক এলাকার কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিনের মধ্যে, গত ৬ জুন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
India China Meeting

ভারত ও চিন সেনাবাহিনীর কর্পস কম্যান্ডার স্তরের দ্বিতীয় দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠক চলছে পূর্ব লাদাখের সীমান্ত প্রহরীদের বৈঠকের জন্য নির্দিষ্ট চুশুল-মোলদো সীমান্তে। প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল পঞ্চদশ কর্পস কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং ও চিনের দক্ষিণ শিনজিয়াং সামরিক এলাকার কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিনের মধ্যে, গত ৬ জুন। সেদিনও বৈঠক হয়েছিল এই একই এলাকায়। প্রায় ৬ ঘন্টা স্থায়ী এই বৈঠকে অপসারণের রোডম্যাপ তৈরি করা হয়।

Advertisment

ভারত ও চিনের মধ্যে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পর এই বৈঠক। ২০ ভারতীয় সেনা ওই সংঘর্ষে মারা যান। ভারতের বক্তব্য ওই সংঘর্ষে চিনেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রথম বৈঠকে কর্পস কম্যান্ডাররা একমত হয়েছিলেন জুনিয়র কম্যান্ডাররা পরিস্থিতি আলোচনা করবেন।

এরপর থেকে বেশ কয়েকদফা আলোচনা হয়েছে, এবং সেনা প্রধান এম এম নারায়ণে ১৩ জুন জানিয়েছেন গালওয়ান উপত্যকায় কিছুটা পরিমাণ সেনা সরানো হয়েছে।

কর্নেল- ব্রিগেডিয়ার এবং মেজর জেনারেল স্তরে আলোচনা হয়েছে ৬ থেকে ১৫ জুনের মধ্যে, যখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনাদের তাঁবু খাটানো নিয়ে হিংসাত্মক সংঘর্ষ ঘটে।

সূত্র জানিয়েছে দু পক্ষের সমঝোতার পর চিন তাঁবু সরিয়ে ফেললেও পরে ফের সেই তাঁবু খাটায় তারা এবং কর্নেল বি সন্তোষ বাবু তাঁর অধীনস্থ কিছু সেনাকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ জুন চিনা আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে যান। কিন্তু সে আলোচনা শেষ হয় হাতাহাতিতে, যার জেরে ২০জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান।

এর তিন দিন পর বৃহস্পতিবার চিনা হেফাজত থেকে ৪ আধিকারিক সহ ১০ জন সেনাকে ছাড়া হয়। তার আগে মেজর জেনারেল পর্যায়ে বেশ কয়েকদফা আলোচনা হয়েছে।

চিন বেশ কিছুদিন ধরেই দ্বিতীয় বৈঠক চাইছিল, কিন্তু ভারত ৬ জুনের বৈঠকের সমঝোতা অনুসারে কাজ করা হয় কিনা সে জন্য অপেক্ষা করছিল। ভারত চাইছিল দ্বিতীয় দফার বৈঠকের আগে ১৪, ১৪, ও ১৭এ পেট্রল পয়েন্ট থেকে সেনা অপসারণ হোক।

india china standoff
Advertisment