গত কয়েক বছর ধরে ভারত ও চিন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। শীতের সময় দু দেশের সেনাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর দুই দেশই। চিন ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে এই নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। ১৫ জুন, ২০২০পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে দুই দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেই সংঘাতের পর এটি চতুর্থ শীত। ভারত ও চিনের ‘গ্রাউন্ড কমান্ডাররা’ পরস্পরের সঙ্গে কথা বলছেন যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। কারণ আগামী মাসগুলোতে এই সকল অঞ্চলে শীত আরও বাড়বে। বর্তমানে এখানে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে।
গত ১০ দিন ধরে অনেক বিষয়ে আলোচনা চলছে
রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে ছোটখাটো সমস্যা সমাধানের জন্য প্রায় ১০ দিন ধরে এলএসির বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি এজেন্ডা-ভিত্তিক আলোচনা চলছে দুই দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে। আলোচনার একটাই উদ্দেশ্য সংঘর্ষের ঘটনা যাতে রোধ করা যায়। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ ধরনের আরও বেশ কয়েকটি বৈঠক হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে ।
সীমান্ত প্রটোকল অনুসরণ করা হবে
দুই পক্ষের মধ্যে কর্পস কমান্ডার-পর্যায়ের আলোচনার সময় সীমান্ত প্রটোকল অনুসরণ করা এবং সংঘর্ষ এড়াতে সীমান্ত টহল সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, গ্রীষ্ম শুরুর আগে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক আলোচনা হতে পারে।
জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত।
প্রথম দফার আলোচনার শেষে LAC-তে নিরাপত্তায় কোন খামতি রাখতে চায় না ভারত। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনী মজুদ রাখা হয়েছে।
গত মাস পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছিল
গত মাসে অনুষ্ঠিত ২০ তম দফা সামরিক আলোচনায় কোনও সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি হয়নি, তবে উভয় পক্ষই শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন সামরিক ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংলাপ ও আলোচনায় সম্মত হয়েছে। এমতাবস্থায় ভারত-চিনের মধ্যে কিছুটা ঐকমত্যে পৌঁছানো দু’দেশের জন্যই সুখবর।