প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সীমান্ত বিবাদ ঘিরে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বুধবার চিনা বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং উইকে সেকথা জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে তিনি এও বলেছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে চিনের তরফে কোনও আগ্রাসন হয়নি, প্যাংগং লেক এলাকা থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। সেইসঙ্গে ভাঙা সম্পর্কও জোড়া লাগছে।
দুশানবে-তে এসসিও কনক্লেভে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক হয় জয়শঙ্কর ও ওয়াংয়ের। জয়শঙ্কর ওয়াংকে সাফ জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্থিতিবস্থা ব্যাহত হওয়া ভারত বরদাস্ত করবে না। লাদাখে শান্তি-স্থিতাবস্থা বজায় থাকলে তবেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি সম্ভব। দুই বিদেশ মন্ত্রীই যত দ্রুত সম্ভব পরের রাউন্ডের সেনা বৈঠকের জন্য সম্মত হয়েছেন। বাকি ইস্যুগুলি দ্রুত সমাধানের জন্য দুই পক্ষই পদক্ষেপ করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন জম্মুর আকাশে ফের ড্রোন, বিএসএফ গুলি করতেই পাকিস্তানে চম্পট
সীমান্ত এলাকায় ১৯৮৮ সাল থেকে যেভাবে শান্তি-স্থিতাবস্থা বজায় ছিল সেটাই পুনরায় প্রতিষ্ঠার জন্য জোর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। ১৯৯৩ এবং ১১৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী, গত বছর সীমান্ত বিবাদের জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরেছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
গত বছর সেপ্টেম্বরে মস্কোতে ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ফের সাক্ষাৎ করলেন জয়শঙ্কর। মস্কোর বৈঠকে দুই পক্ষই পাঁচটি পয়েন্ট অ্যাজেন্ডায় সীমান্ত বিবাদ সমাধানের অঙ্গীকার নেয়। তার মধ্যে ছিল দ্রুত সেনা সরানোর প্রক্রিয়া।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন