লাদাখে সীমান্ত বিবাদ মেটাতে আজই ভারত-চিন সেনাবাহিনীর কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা। চুশুল-মলডো সেনা ছাউনিতে ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেবেন সেনার ১৪ কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। প্রথমে এই বৈঠক আজ সকাল সাড়ে আটটায় হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। গত একমাস ধরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়িয়েছে ভারত ও চিনা সেনা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই দেশের সেনা স্তরে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। এবার তাই সেনার কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
ভারত-চিন সীমান্তে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে গত ১ মাস ধরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে গালওয়ান উপত্যকায় চিন সমারাস্ত্র মজুত করছে, সেনার সংখ্যাও বাড়চ্ছে। চরম সংকটের পরিস্থিতির কথা আগাম ভেবেই সেনাকে প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি বাড়াতে বার্তা দেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ভারতও লাদাখ, সিকিম সহ ইন্দো-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে। এর আগে দেশের তিন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হয়। জানা যায় ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, চিনা আগ্রাসনের সামনে ভারতীয় সেনা কোনও মতেই পিছ-পা হবে না। ফলে ইন্দো-চিন যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়।
তবে, প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কই বজায় রাখতে উদ্যোগী নয়া দিল্লি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যস্ততার প্রস্তাব দিলেও তা নাকচ করে ভারত। আলোচনার মাধ্যমে ভারতৃচিন সমস্যার সমাধান করবে বলে জানানো হয়।
শুক্রবার, কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়ে ভারত-চিনের রাষ্ট্রদূতেরা ভিডিও বৈঠক করেন। শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্য়মে দুই দেশ বিরোধ মেটানোর পক্ষেই সম্মত হয়েছে। আজকের আলোচনাতেই সমস্যা মিটে যাবে, এমন আশা করছে না মোদী সরকার। তবে আলোচনা শুরুর প্রক্রিয়াকে সদর্থক বলেই মনে করা হচ্ছে।।
সূত্র মারফত দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে, সীমান্ত বৈঠকে প্রথম বক্তব্য় রাখবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। বিতর্কিত জায়গায় শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব দেবে ভারত। ১৯৯৩ সালে দু'দেশের মধ্যে সাক্ষরিত প্রটোকল ও চুক্তি উভয় দেশকেই মেনে চলার বিষয়টি স্মরণ করানো হতে পারে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন