আগামী সপ্তাহেই ভারত-চিন সেনা কমান্ডার পর্যায়ের আলোচনা হতে পারে। মূলত নিয়ন্ত্রণরেখার প্যাংগং ও পিপি ১৭-এ থেকে চিনা সেনা সরানোর নিয়েই আলোচনা এগোতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, দুই দেশের পঞ্চম পর্যায়ের সেনা বৈঠকে 'নিয়ন্ত্রণরেখায় থেকে সেনা প্রত্যাহে অগ্রতিপূর্ণ বদল ও সেখানে এপ্রিল মাসের স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধারে' জোর দেবে ভারত। তবে, বিরূপ পরিস্থিতি এড়াতে চিনের বিরুদ্ধে সেনাকে দিয়ে চাপ বাড়ানোর বিকল্প উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি এক আধিকারিক সানডে এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে, 'সেনা কমান্ডার পর্যায়ের আলোচনার জন্য শুক্রবারের বৈঠকে দুই দেশই সম্মত হয়েছে। তবে, বৈঠকের আলোচ্যসূচি ওখনও চূড়ান্ত হয়নি। আলোচ্যসূচি চূড়ান্ত হলেই বৈঠকের দিনও পাকা হবে। মনে করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহের শেষেই এই বৈঠক হতে পারে।'
আলোচ্যসূচি চূড়ান্তকরণের বিষয়টি অত্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হয়ে থাকে বলে দাবি ওই সরকারি আধিাকারিকের। দিল্লিতে এই প্রক্রিয়া হয়ে থাকে। চিনা স্টাডি গ্রুপ আলোচ্যসূচি নির্ধারণের পর তা বাস্তবায়িত করে সেনা কমান্ডাররা।
দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের ফোনালাপের পর গালওয়ান ও হট স্প্রিংয়ের পিপি ১৫ থেকে লাল ফৌজ কিছুটা পিছনে সরলেও প্যাংগং ও পিপি ১৭-এ তে এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে তারা। ফিঙ্গার ৮-এও জারি রয়েছে চিনা বাহিনীর আগ্রাসন। সেখানে ভারতীয় সেনাকে নজরদারিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। চিনা সেনার এই অনড় মনোভাবেই কারণেই ভারত মনে করছে সমস্যা এখনই মেটার নয়। তাই নিয়ন্ত্রণরেখা সুরক্ষিত করতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের কথা ভেবেছে দিল্লি। শীতেও নিয়ন্ত্রণরেখায় অধিক উচ্চতায় সেনা মোতায়েন রাখার পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় সেনা।
আংশিক সেনা প্রত্যাহরের প্রস্তাব বা সাময়িক কোনও পদক্ষেপে ভারত আর রাজি নয়। আসন্ন সেনাস্তরের আলোচনায়, 'ভারতের দাবি পূরণে কড়া মনোভাব নেওয়া উচিত। এটাই সময় যখন আমরা আমাদের অনড় মনোভাব প্রকাশ করতে পারি। চিনকে সুবিধাজনক অবস্থান দেওয়ার বদলে আমাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।' মনে করেন সরকারি আধিকারিক।
নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা ফেরানোই এখন এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। খুব ধীরে হলেও তা নজর আসছে। গত কয়েকদিনে খুব কম সংখ্যক চিনা সেনা ধীরে ধীরে পিছনে সরেছে। পরের সপ্তাহে আলোচনার আগে এই অবস্থানে আরও অগ্রগতি ঘটতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সরকারি আধিকারিক।
প্যাংগং ও পিপি ১৭-এ তে এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে তারা। ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮-পর্যন্ত জারি রয়েছে চিনা বাহিনীর আগ্রাসন। ভারতীয় সেনাকে নজরদারিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় বৈঠকে প্যাংগং থেকে সেনা সরানোতেই ভারতীয় সেনা অধিক গুরুত্ব দেবে বলে জানা গিয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন