জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠকের ঠিক সপ্তাহ খানেক আগেই সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত-চিন। ২০২০ সাল থেকে সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই নিয়ে এর আগে দফায় দফায় আলোচনা হলেও সেভাবে কোন সমাধান সূত্র মেলেনি।
ব্রিকস নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণ আফ্রিকায় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে, ভারত ও চিন ফের একবার সীমান্ত সংঘাত নিয়ে সোমবার ১৯তম দফা্র সামরিক আলোচনায অংশ নিতে চলেছে। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যেই আগামীকালের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলেই জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ব্রিকস সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মুখোমুখি হওয়ার এক সপ্তাহ আগে ভারত ও চিনা সীমান্ত সংঘাত নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে। সোমবার ১৯তম দফা সামরিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ব লাদাখে ৪ বছর ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অচলাবস্থা প্রশমনের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন ১৪ কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালি। এসসিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের আগে ২৩ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে শেষ দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকালে আলোচনায় সীমান্ত প্রটোকল মেনে চলা নিশ্চিত করা, দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরোধ কমানোর একাধিক বিষয় নিএ আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি এলএসি এবং বাফার জোনে মোতায়েন সেনাদের মধ্যে পর্যাপ্ত যোগাযোগ নিশ্চিত করার মতো বিষয়গুলি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হবে৷ উল্লেখ্য চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চলতি বছরের ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর G-20 শীর্ষ সম্মেলনের যোগ দিতে ভারত সফর করবেন।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ইতিমধ্যেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। অতীতের সীমান্ত সমস্যা এবং বর্তমানের সীমান্ত সমস্যা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে দুদেশের নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়। ডোভাল বলেছেন, ২০২০ সাল থেকে সীমান্তে যে উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা "দুদেশের পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক ভিত্তিকে ক্ষয় করেছে"।