ভারত-চিন সম্পর্কে বরফে গলল। লাদাখের গোগরা থেকে সেনা সরানো শুরু করল দুই দেশই। দুই বছর ধরে ভারত-চিন সীমান্তে সম্পর্কের শীতলতা তীব্র আকার নিয়েছিল। সেই শীতলতা দূর হওয়ার রাস্তা তৈরি হয়েছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে হওয়া ১৬তম বৈঠকে। বৃহস্পতিবার যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে এই কথা জানাল ভারত ও চিন।
গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকে সেনা সরানো নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে ভারত ও চিন জানিয়েছে, '২০২২-এর ৮ সেপ্টেম্বর ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর কমান্ডাররা ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পেরেছেন। সর্বসম্মতিতে গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী, দুই দেশই পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু করেছে। সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
এর আগে গত ১৭ জুলাই ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের মধ্যে ১৬তম বৈঠক হয়। সেনাস্তরে বৈঠক ছাড়াও কূটনৈতিকস্তরেও দুই দেশ সীমান্তের শীতলতা দূর করতে চেষ্টা চালাচ্ছিল। চিনের শীর্ষস্তরের সঙ্গেও এনিয়ে ভারতের বৈঠক হয়েছে। আগামী সপ্তাহেও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের মুখোমুখি হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকের আলোচনায় উঠতে পারে দুই দেশের সীমান্ত সম্পর্ক। তার আগেই দুই দেশের সেনাবাহিনী সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছে কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- রানি এলিজাবেথের অবস্থা ভাল নয়, খবর পেয়েই স্কটল্যান্ড ছুটল পরিবার
২০২০ সালে আচমকা চিনের সেনাবাহিনীর অতিসক্রিয়তায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত সীমান্ত। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে চিনের সেনা। ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাস লাদাখে মুখোমুখি অবস্থান শুরু করে ভারত ও চিনের সেনা। ঠিক তার পরের মাস, জুনেই গালওয়ানে ভারতের সেনাবাহিনীর জওয়ানদের ওপর চিনের সেনা হামলা চালায়। যাতে দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করে। তারপর থেকে টানা দু'বছর চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল ভারত-চিন সীমান্তে।
এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মহল। পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ যুদ্ধের পথে হাঁটুক, এটা আন্তর্জাতিক মহল চায় না। ভারত ও চিনও পরিস্থিতির অবনতি রুখতে সক্রিয়তা দেখায়। বারবার উভয়পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের জেরেই ঘটল পরিস্থিতির উন্নতি।
Read full story in English