মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ইলহান ওমরেরর পাক অধিকৃত কাশ্মীর সফর ভালো চোখে দেখছে না ভারত। বৃহস্পতিবার এই সফরের তীব্র নিন্দা করে ভারত জানিয়েছে, এটা একটা নিঁচু মনের রাজনীতি। যা আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। ২০ এপ্রিল চার দিনের সফরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এসেছেন ওমর। বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে। পাশাপাশি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদেও সফর করেছেন।
যা দেখে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'আমরা লক্ষ্য করেছি যে মার্কিন প্রতিনিধি ইলহান ওমর ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের সেই অংশ সফর করেছেন, যা বর্তমানে পাকিস্তান অধিকার করে রেখেছে। এমন একজন রাজনীতিবিদ যদি ঘরে বসে তাঁর সংকীর্ণ মানসিকতার রাজনীতির চর্চা করতে চান, সেটাই তাঁর ব্যবসা হতেই পারে। কিন্তু, এটা আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করার বিষয়। এই সফর নিন্দনীয়।'
আরও পড়ুন- রাশিয়ার নতুন পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র সরমাত কি ‘বিশ্বের যে কোনও স্থানে’ আঘাত হানতে সক্ষম?
মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য ইলহান ওমর চলতি মাসের গোড়ায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন বাইডেন প্রশাসন মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে মোদী সরকারের সমালোচনায় অনিচ্ছুক? অতীতে ভারতের বিরুদ্ধে মুসলিম-বিরোধী নীতি গ্রহণেরও অভিযোগ করেছিলেন ওমর। মুজাফফরাবাদে, মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি ওমর বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দফতরের কমিটি অতীতে জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেছে এবং শুনানি চালিয়েছে। পাশাপাশি, ভারতে মুসলিম বিরোধী বক্তব্য এবং এর প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চার দিনের সফরে ইসলামাবাদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও লাহোরেও যাওয়ার কথা ইলহান ওমর। তাঁর বক্তব্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আপাত শান্তি ভঙ্গ করবে বলেই আশঙ্কা করছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।
সম্প্রতি, ইমরান জমানায় ভারত এবং পাকিস্তান সীমান্তে কোনও গোলাগুলির শব্দ মেলেনি। কিন্তু, ইমরান সরতেই ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে জম্মু-কাশ্মীর। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে দিয়েছে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এবার কী তবে ফের কাশ্মীর সীমান্তে শুরু হবে, সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন? ইলহান ওমরের পাকিস্তান সফরের পর এখন সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে নয়াদিল্লি।
Read story in English