সামান্য বাড়ল সংক্রমণ, কিন্তু তুলনায় সুস্থতার হারও বেড়েছে। ফলে নিম্নমুখী সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। ভারতের করোনার এই গ্রাফই আতঙ্কের আবহে কিছুটা আলোর দিশা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে শনিবার করোনার আক্রান্তেতের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭০ জন। দৈনিক সুস্থতার হার ১ হাজার ৯৬ জন। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬ হাজার ৮২২ জন। শতাংশের বিচারে যা গত দিনের তুলনায় ১.২৯ শতাংশ কম। কোভিড সংক্রমণে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৯১ জনের।
দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৫৫ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ কোটি ১০ লক্ষ ৯৯ হাজারের বেশি মানুষ। কোভিডে ভারতে মৃতের সংখ্যা বর্তমানে ৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৬২ জন। শতাংশের বিচারে মৃত্যু হার ১.২৪ শতাংশ।
সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে একদিকে টিকাকরণ, অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মান্যতায় জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা টিকা পেয়েছেন মোট ৫০ কোটি ৬৮ লক্ষ ১০ হাজার ৪৯২ জন।
সংক্রমণের নিরিথে দেশের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরালা। একদিনে দক্ষিণের এই রাজ্যটিতে আক্রান্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
শনিবার জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার তৈরি সিঙ্গল ডোজ কোভিড টিকার জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড, এবং স্পুটনিক ভি-র পর এই নিয়ে চতুর্থ ভ্যাকসিনকে দেশে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিল কেন্দ্র। একই সঙ্গে মার্কিন সংস্থা মডার্নাও টিকার জরুরি প্রয়োগের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু ওই টিকা আগামী বছরের আগে দেশে মিলবে না।
জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার তৈরি সিঙ্গল ডোজ কোভিড টিকার কার্যকারিতা প্রায় ৮৫ শতাংশ বলে দাবি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য শনিবার টুইটে লেখেন, 'ভারত টিকার ঝুলি আরও সম্প্রসারণ করল। জনসন এন্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনকে ভারতে জরুরি প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভারতের হাতে এখন পাঁচটি ভ্যাকসিন রয়েছে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন