/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/corona-759-new-1.jpg)
মে মাসের পর এই প্রথম যেখানে দেশের মোট করোনা পজিটিভের হার এবার কমতির দিকে। যার অর্থ হল টেস্ট একই সংখ্যাও হলেও এখন অনেক কম সংখ্যক নাগরিক কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
আশা ছিল এমনটাই। লকডাউন, সামাজিক দূরত্ববিধি আর মাস্ক পরে যদি সংক্রমণ ঠেকানো যায় তবে ক্ষতি কী? নোভেল করোনা ভাইরাসের যা চরিত্র সেখানে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে এমনটা আগেই জানা ছিল কিন্তু ১৪০ কোটির দেশে অজানা ভয়ও ছিল। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২৭ লক্ষ, মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার। তবে গত দু'সপ্তাহের পরিসংখ্যান বলছে ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকেই এগোচ্ছে দেশ।
মে মাসের পর এই প্রথম যেখানে দেশের মোট করোনা পজিটিভের হার এবার কমতির দিকে। এর অর্থ হল টেস্ট একই সংখ্যাও হলেও এখন অনেক কম সংখ্যক নাগরিক কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। অগাস্টের ৯ তারিখ যেখানে দেশে পজিটিভের সংখ্যা ছিল ৯ শতাংশ। ১৮ অগাস্ট সেই সংখ্যাই কমে এসেছে ৮.৭২ শতাংশে।
আরও পড়ুন, একবার আক্রান্ত হলেই মানবদেহে করোনা ভাইরাস থাকছে তিন মাস! কতটা মারাত্মক?
প্রসঙ্গত, জুলাই থেকেই লাফিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একসময় ৭০ হাজার ছুঁইছুঁই ছিল। কিন্তু গত দু'সপ্তাহে তা কমে ৬০ হাজারের মধ্যেই রয়েছে।
তবে ভয় কি একেবারে নেই? না ঠিক তা নয়। এখনও দেশ পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত নিয়মবিধি মেনে চলতেই হবে। বিশেষজ্ঞদের মত, যাঁদের করোনা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাঁদেরই পরীক্ষা হচ্ছে। উপসর্গহীনদের (আসিম্পটোম্যাটিক) ক্ষেত্রে কিন্তু পরীক্ষা হচ্ছে না। কিন্তু ভাইরাস তো তাঁরাও বহন করছেন অনেক ক্ষেত্রে। তাই আশঙ্কা থাকছেই। তবে পরিসংখ্যানের হার আপাতত সেই চিন্তার মেঘেই কিছুটা কাটিয়ে স্বস্তি দিচ্ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন