বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৩০৩ জন। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৫৬৩ জন। এদিকে বাড়তে থাকা সংক্রমণের হাত ধরে দেশে বেড়েই চলেছে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাও। এই মুহুর্তে দেশে মোট করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৮০।
এদিকে করোনা সংক্রমণ হঠাৎ করে রাজধানী দিল্লিতে বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে করোনা বিধি জারি করা হয়েছে। মাস্ক না পরলে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে বলে ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার। দিল্লির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, মিজোরাম, মহারাষ্ট্রেও করোনা বিধি আরোপ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে দিল্লিতে এক দিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১হাজার ৩৬৭ জন। সেই সঙ্গে পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশ ছুঁইছুঁই।
দেশে বাড়তে থাকা কোভিড ১৯ এর প্রভাব বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল এক ভাষণে বলেন, “কোভিড -১৯ এর চ্যালেঞ্জ পুরোপুরি শেষ হয়নি এবং গত দুই সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ ইঙ্গিত দেয় যে দেশকে এখনও সতর্ক থাকতে হবে”। কোভিড সংক্রমণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে মোদী বলেন, “অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় আমরা এখন ভাল অবস্থানে রয়েছি, কিন্তু আমাদের এখনও আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। গত দু সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে”।
আরও পড়ুন: আর ৯ মাস নয়, কমতে পারে কোভিডের বুস্টার ডোজ নেওয়ার সময়সীমা
গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২হাজার ৯২৭ জন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২হাজার ৪৮৩। এদিকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশের একাধিক রাজ্যে কোভিড বিধি বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘন্টায় করোনার বলি হয়েছেন ৩২ জন।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেছেন, "এটা প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গর্বের বিষয় যে দেশের ৯৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কোভিড টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়ে গিয়েছে"।কোভিড মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সহযোগিতারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি মোদী বলেন, “দ্রুততার সঙ্গে শিশুদের করোনাটিকাকরণই এখন একমাত্র আগ্রাধিকার”।