লাগাতার নিম্নমুখী দেশের দৈনিক সংক্রমণ। প্রতিদিন কমছে সংক্রমিতের সংখ্যা, কমছে মৃত্যু। টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই সুস্থ হচ্ছে দেশ। সপ্তাহের প্রথম দিনে করোনার দৈনিক সংক্রমণ নেমে গেল দেড় হাজারে। আরও কমল মৃত্যু। স্বস্তি দিয়ে আরও দেশে কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। সব মিলিয়ে সপ্তাহের প্রথম দিনে ফের একবার বড়সড় করোনা স্বস্তি দেশে।
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। গতকাল এই পরিসংখ্যান ছিল ১ হাজার ৭৬১ জন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। গতকাল এই পরিসংখ্যান ছিল ১২৭ জন। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ২৫ হাজার ১০৬। এখনও পর্যন্ত দেশে ১৮১ কোটি ২৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩০৩টি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উদ্বেগ যাচ্ছে না। বিশ্বের একাধিক দেশে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মহামারীর পরিস্থিতি। চিন-সহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যার ইঙ্গিত নাকি এখন থেকেই মিলতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সংক্রমণে লাগাম টানতে কড়া পদক্ষেপ শুরু চিনের। রাজধানী বেজিং-সহ চিনের একাধিক শহরে জারি লকডাউন।
আরও পড়ুন- সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ
এদিকে, টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই করোনামুক্তির পথে ভারত। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গিয়েছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণও। তবে এরাজ্যে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু আজই। সোমবার কলকাতার চেতলা গার্লস হাইস্কুল থেকে এই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু। কলকাতার মোট ৩৭ টি টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে করোনার Corbevax টিকা। জানা গিয়েছে, ১২-১৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে সময়সীমা কমানো হয়েছে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যেত এতদিন। তবে সেই সময়সীমা কমিয়ে ৮ সপ্তাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।