করোনার তৃতীয় ঢেউ এখনও বিপজ্জনক জায়গাতেই রয়েছে। এখনও দেশের দৈনিক সংক্রমণ আড়াই লক্ষের উপরে।
যদিও শুক্রবার এক ধাক্কায় বেশ খানিকটা কমেছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। কমেছে সংক্রমণের হারও। তবে গতকালের চেয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে।
শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যা অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫১ হাজার ২০৯ জন। একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬২৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৪৩ জন। তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২১ লক্ষ ৫ হাজার ৬১১।
গতকালের নিরিখে এদিন করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেশ খানিকটা কমেছে। দেশে সংক্রমণের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার কমে ১৫.৮৮ শতাংশ। দেশজুড়ে চলছে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি। স্বাস্থ্যমন্ত্রেকর তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই দেশে ১৬৪ কোটি ৪৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ২১৬টি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- তড়িঘড়ি বিধি-নিষেধ শিথিলে সিঁদুরে মেঘ দেখছে কেন্দ্র, রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা
অন্যদিকে, বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই বিধি-নিষেধ শিথিল শুরু হয়েছে। দেশের বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেই প্রবণতা বিপ্পজনক বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় সরকারের। এখনও প্রতি দিন লক্ষ-লক্ষ মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ শিথিল করার ক্ষেত্রে এবার রাজ্যগুলিকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে পরামর্শ কেন্দ্রের।
কেন্দ্রের পরামর্শ, ‘ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। এতে ফল উল্টো হতে পারে’। সেই কারণেই বিধি-নিষেধ শিথিল করার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে সব দিক ভেবে দেখার পরামর্শ কেন্দ্রের। বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে একটি নির্দেশ পাশ করেছে। যা কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য এর আগে ২৭ ডিসেম্বরের নির্দেশটিই আপাতত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
Read full story in English