টিকাদানে রেকর্ড গড়ল ভারত! স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ লক্ষের বেশি মানুষ করোনা টিকা পেয়েছেন। গতকাল পর্যন্ত ভারতে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৯৯ কোটি ৯৮ লক্ষ ৮৯ হাজারের বেশি মানুষ। রেকর্ড সময়ে টিকাকরণের ২০০ কোটির মাইলফলক ছোঁয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে রবিবার দুপুরে এল সে মাহেন্দ্রক্ষণ। করোনার টিকাকরণে ২০০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে রেকর্ড গড়ল ভারত।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচি। তার থেকে দেড় বছর পর আজ রবিবার কোভিড টিকার ২০০ কোটি মাইলফলক অতিক্রান্ত হতেই ইতিহাস গড়ল ভারত। এই দিনটি সমগ্র ভারতবাসীর জন্য এক গর্বের দিন। এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, “ ফের ইতিহাস গড়ল ভারত! ২০০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজের বিশেষ সংখ্যা অতিক্রম করার জন্য সমস্ত ভারতীয়কে অভিনন্দন। যারা ভারতের টিকাদান অভিযানকে অতুলনীয় করে তুলতে অবদান রেখেছেন তাঁদের জন্য গর্বিত আমরা। এটি কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইকে শক্তিশালী করেছে”।
অপরদিকে এক টুইটবার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মান্ডাভিয়া লিখেছেন “১৭ই জুলাই ২০২২, চিরদিন মনে রাখার মতো একটি দিন”। একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘মাত্র ১৮ মাসে ২০০ কোটি টিকা দেওয়ার লক্ষ্য পূরণ করেছে ভারত। একটি নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশ। এই অর্জনের জন্য সকল দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন।’
শনিবার দেশে ২৫.২ লক্ষ মানুষকে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া শেষ হতেই শুরু হয় কাউন্ট ডাউন। আজ রবিবার সকালে ১.৩ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া সম্পন্ন হতেই ইতিহাস ছুঁল ভারত।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে দেশজুড়ে ১৫ জুলাই থেকেই ৭৫ দিনের জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ। চলতি সপ্তাহে সাতদিন দৈনিক গড়ে ১৩.৬ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়। যদিও শনিবার এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হতেই শনিবার রাত থেকেই শুরু হয় কাউন্টডাউন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে শনিবার সকাল পর্যন্ত ভারত প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯১.৮ কোটি মানুষকে এবং দ্বিতীয় ডোজ ৮৪.৯ কোটি মানুষকে। পাশাপাশি ৯.৩৭ কোটির বেশি শিশুকে টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭.৬ কটি যোগ্য শিশুকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন উপলক্ষে একটি মেগা টিকাদান অভিযান চলাকালীন দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ ২.৫ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: <শহরে ফের উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু, বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, বন্ধুকে জেরা পুলিশের>
বিশ্বব্যাপী কোভিড মোকাবিলায় টিকাদানই একমাত্র বিকল্প। যদিও টিকাদানের এই সাফল্যে করোনাভাইরাস টিকার বুস্টার ডোজ সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এখন কেন্দ্রের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস কেটে গেলে সকলেই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।