ভারতের স্বাধীনতা ক্রমশ আংশিক স্বাধীনতায় পরিণত হচ্ছে। অর্থাৎ নাগরিক অধিকার একেবারে মুক্ত নয় বরং আংশিক মুক্ত। ওয়াশিংটন ভিত্তিক বিশিষ্ট থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ফ্রিডম হাউস এমনটাই জানিয়েছে সম্প্রতি। এও বলা হয়েছে সেখানে যে, "২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ক্ষয় হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের স্বাধীনতা"। এই রিপোর্টে ভারতে মুসলিমদের উপর 'ভিন্ন দৃষ্টি', 'হামলা', 'রাষ্ট্রদ্রোহ আইন', লকডাউন ইত্যাদি বিষয়গুলিকেও তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বের মুক্তমনা দেশের বিচারে ১০০ এর মধ্যে ভারত পেয়েছে ৬৭। আগে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৭১। ফ্রিডম হাউসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, "মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার মানবাধিকার সংস্থাগুলির উপর ক্রমবর্ধমান চাপ তৈরি করছে। শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই পতন আরও জোরদার হয়েছে। করোনা ভাইরাস অতিমারীর সময়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া বেশ কিছু মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।"
সাংবাদিক বিবৃতিতে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার এবং মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং বৈষম্যমূলক নীতি, নাগরিক সমাজের মত প্রকাশের বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়। ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেনের মত দেশগুলি এক'শ এক'শ পেয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর মিত্ররা সমালোচকদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছে। কোভিডের সময় পরিকল্পনা ছাড়া লকডাউন ঘোষণায় বহু মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। ভারতকে স্বৈরাচারবাদের দিকে চালিত করছে মোদী সরকার।"
দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের কোনো উন্নতি হয়নি। ২০২০ সালে দেশে রাজনৈতিক ও নাগরিক স্বাধীনতা যেমন ছিল, এ বছরে এসে সেই অবস্থার রদবদল ঘটেনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। 'ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২১ ডেমোক্রেসি আন্ডার সিজ' শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে বুধবার। ১৯৫টি দেশ ও ১৫টি অঞ্চলের ওপর তৈরি এ প্রতিবেদনে মুক্ত, আংশিক মুক্ত, মুক্ত নয়- এই তিন ক্যাটাগরিতে স্কোর দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন